সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আজ ২৯ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন অনুসারে “Training on APA: Formulation, Implementation and Challenges” শীর্ষক এক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবি'র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা।
এছাড়া
রাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ
ইউসুফ এবং ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি
অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর
অতিরিক্ত পরিচালক ও সিএসই বিভাগের
সহকারী অধ্যাপক ধীমান শর্মা উপস্থিত
ছিলেন। অনুষ্ঠান
সঞ্চালনা করেন সহকারী রেজিস্ট্রার
(এস্টেট) ও এপিএ ফোকাল
পয়েন্ট সেতু
চাকমা।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য
প্রফেসর ড. মোঃ আবু
তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনির্দিষ্টভাবে
গবেষণার প্লান থাকতে হবে। গবেষণা
মানে মুক্ত চর্চার বিষয়। এখানে
প্রতিটি শিক্ষকদের গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব দিতে
হবে। তা
না হলে এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়
এগিয়ে যাবেনা। এখন
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে
চারটি মূল স্তম্ভ স্মার্ট
সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট
গভর্নমেন্ট ঠিক করা হয়েছে
সেগুলো সামনে রেখে প্রতিটা
কাজে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা ভূমিকা রাখতে
পারবো। এখন
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেজন্য
এসডিজি ২০৩০ এবং ভিশন
২০৪১ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন
করতে হবে। সামনে
আসছে ক্যাশলেস সোসাইটি, এবং পেপারলেস অফিস। এসব
মোকাবেলা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের প্রযুক্তির
ক্ষেত্রে অনেক দক্ষ হতে
হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষার্থীদের নানা ইনোভেটিভ আইডিয়া,
ইনোভেটিভ এডুকেশনের ধারণা নিয়ে যেন
বেড়ে উঠতে পারে সেভাবে
একাডেমিক মাস্টার প্লান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে
যে এপিএ চালু হয়েছে
সে মোতাবেক অনেক গুরুত্ব দিতে
হবে। সঠিক
সময়ে এপিএ রিপোর্ট আপডেট
ও প্রমাণক হিসেবে সব প্রয়োজনীয়
ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে হবে তা
না হলে এপিএ পারফর্মেন্সের
ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে হবে। এছাড়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে
হবে। দুর্নীতির
বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে
হবে। সবাইকে
নিয়ে দেশকে এবং এ
বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হবে। এছাড়া
মানব সম্পদ উন্নয়নে একসাথে
কাজ করতে হবে।
রাবিপ্রবি'র ভাইস চ্যান্সেলর
প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার
বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়
নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও শিক্ষক, কর্মকর্তা
এবং কর্মচারীদের নিয়ে সামনে এগিয়ে
যাচ্ছে। স্বপ্নের
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা যেন এই
বিশ্ববিদ্যালয় অবদান রাখতে পারি
সেজন্য এখানে যারা কর্মরত
রয়েছেন তাদেরকে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে
তোলার আহবান জানান।
এছাড়া তিনি আরও বলেন,
এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ার জন্য
যে পরিমাণ অবকাঠামো এবং
অন্যান্য একাডেমিক যে সুযোগ সুবিধা
থাকার কথা রয়েছে তা
খুবই নগণ্য। তাই
এগুলো পূরণের জন্য বাংলাদেশ
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে অনেক গুরুত্ব দিতে
হবে।
প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,কর্মকর্তা এবং
কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।