ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মূল সনদ নিতে টাকা লাগে

সিএইচটি টুডে ডট কম, ,কাউখালী (রাঙামাটি)।  রাঙামাটির  কাউখালী উপজেলার ‘ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেএসসি ও এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মূল সনদ ৫০০টাকা ও প্রসংসা পত্র নিতে ৫০০টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন জেএসসি সনদ নিতে ৩০০টাকা ও এসএসসি সনদ নিতে ৫০০টাকা ও ২০থেকে ৩০টাকা খরছ হওয়া প্রতিষ্টানের প্রসংসাপত্রটি ৫০০টাকা নেওয়া মানে ছাত্র দের উপর অন্যায় করা হচ্ছে। এই অনিয়মটি দীর্ঘ বছর চলে আসলে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ দেখেননি কেউ। তবে শিক্ষাবোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, সব শিক্ষার্থীর সনদপত্র ও মার্কসিটের (ট্রান্সক্রিপ্ট) ফি বোর্ড পরীক্ষার পূর্বে ফরম পূরণের সময়ে আদায় করা হয়।

এদিকে দ্বিতীয়বার শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা আদায়ের বিষয়টিকে অপরাধ বলছেন অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিকা চন্দ্রা দেওয়ান অভিযোগ সত্য বলে জানান। তিনি বলেন জেএসসি ও এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মূল সনদ ৫০০টাকা ও প্রসংসা পত্র নিতে ৫০০টাকা করে আদায়ের বিয়টি প্রতিষ্ঠানের রশিদের মাধ্যমে নেওয়া হচ্ছে । এসব টাকা প্রতিষ্টানের উন্নয়ন ও হোষ্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের খাবার ও খেলাধুলা বাবদ খরচ করা হচ্ছে।

 আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কাউখালী উপজেলার মধ্যে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান,এখান থেকে ঋতুপর্না, আনাই, মগিনি, মনিকাদের দেশ সেরা ফুটবলারদের জম্ম হয়েছে, এখনো নতুন করে আরো দশজন খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে। এদের পিছনে সরকারী কোন ফান্ড নাই আমরা এসব টাকা থেকে তাদের খরচ বহন করি। এক শ্রেনির মানুষ আছে যারা আমাদের অর্জনটা দেখে কিন্তু অর্জনের পিছনে কত শ্রম সেটা দেখে না। তাই তারা এসব ছোট বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের স্বনাম নষ্ট করতে এসব করছেন।

প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করেন, ‘এসএসসি ও প্রশংসাপত্র ও মার্কশিটের জন্য ফি বাবদ ৫০০ টাকা করে মোট এক হাজার টাকা আদায় করেছেন। এসব বছরকে বছর চলে আসছে। এই অনিয়মটি নিয়ে বারবার প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন, তবে তিনি বিষয়টি তধন্ত করে সত্যতা মিললে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।