খাগড়াছড়িতে ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে বৈসাবির মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু

প্রকাশঃ ১৩ এপ্রিল, ২০১৮ ০৭:০৩:৫৬ | আপডেটঃ ০৩ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৯:২৮:৪৪

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। পার্বত্য চট্টগ্রামে চলছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সামাজিক উৎসব বৈসাবির আমেজ। বৃহস্পতিবার ভোরে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীসহ আশপাশের বিভিন্ন খাল ও ছড়ায় উপগত বৌদ্ধের উদ্দেশে বাহারী রঙের ফুল দিয়ে প্রার্থনা করে বৈসাবি উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে চাকমা সম্প্রদায়।
চাকমা লোকরীতির বিশ^াস, পুরাতন বছরের দু:খ গ্লানি ও পাপাচার থেকে মুক্তির জন্য বৌদ্ধের উদ্দেশে ফুল ভাসিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় জানালে নতুন বছর সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা দিবে। তাই ফুল বিজুর দিন ভোর থেকে বাড়ির পাশের নদী ও খালে গিয়ে প্রার্থনারত হয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় জানায় চাকমা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সী নরনারী। তবে এখন ফুল বিজু শুধুমাত্র চাকমা সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নেই। মারমা, ত্রিপুরা ও স্থানীয় বাঙালীরাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে অংশগ্রহণ করছে ফুলবিজুতে।
ফুল ভাসানো শেষে তরুণ তরুণীরা মেতে উঠে আনন্দ উৎসবে। নদীতে ¯œান শেষে বাড়ি গিয়ে বায়ো:জ্যেষ্ঠদের প্রণাম করে ছোটরা। ঘরবাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছনতা ও সাজসজ্জা শেষে প্রস্তুতি চলে অতিথি অ্যাপায়নের। চাকমা পল্লীগুলোতে চলছে বিভিন্ন গ্রামীণ খেলাধূলা।
জেকি চাকমা নামে এক তরুণী বলেন, ফুল বিজুর জন্য সারারাত ফুল তুলে অপেক্ষায় ছিলাম কখন ভোর হবে। বিজু উপলক্ষে বন্ধুরা সবাই একসাথে হতে পারি।
শ্রেয়া তালুকদার নামে আরেকজন বলেন, বিজু উৎসবে এখন শুধু পাহাড়ীরা নয় অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীরা সামিল হচ্ছে। এতে বৈসাবির আনন্দ আরও বেশী বর্ণিল হয়ে উঠে।
ঢাকার পর্যটক আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, এতোদিন দূর থেকে পাহাড়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা শুনেছি। সরাসরি দেখতে পেরে খুব ভাল লাগছে।    



সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions