শহরে হঠাৎ দেখা বনের উপকারী পাখি ‘দাগি-বসন্ত’ এর সাথে

প্রকাশঃ ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:৪২:৫৭ | আপডেটঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৭:৩৫:৫০
পাখির বাসা তৈরির অসাধারণ সৃজনশীলতা যেন প্রকৃতির অপূর্ব স্থাপত্য শিল্পের বহিঃপ্রকাশ। কিছু পাখির বাসা নির্মাণশৈলী এতোটাই দারুণ যে, দেখে বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পাখির বাসার দিকে ভালো করে তাকালেই বোঝা যায় যে এরা কত শ্রম, বুদ্ধি, ধৈর্য ও কৌশল খরচ করে একটি বাসা তৈরি করে। পাখিরা তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার সবটুকুই প্রয়োগ করে বাসা তৈরিতে। এমনি এক বন-বনান্তরকে মুখর করে রাখা ও তিক্ষè ঠোঠ দিয়ে গাছের কোটরে বাসা তৈরি করা পাখি দাগি-বসন্ত।

প্রতি বছর সে নতুন করে একটা কোটর বানায়। পুরানো কোটরে সে বাসা করে না। কারণ কোটর বানানোর যে প্রক্রিয়া এটাই হলো ছেলে এবং মেয়ে দাগি-বসন্তে প্রণয়ের একটা অঙ্গ। গাছের কোটর বানানোটা প্রথমে শুরু করে ছেলে দাগি-বসন্ত। পরে মেয়ে দাগি-বসন্ত এসেও যোগ দেয়। ছেলে পাখিটার ক্রমাগত আহ্বানে সাড়া দিয়ে এসে কোটরের বাসাটি তৈরিতে শেষের কাজগুলো করে। মেয়ে পাখিটির প্রজনন প্রণয়ে বাঁধা না পড়া পর্যন্ত কিছুতেই থামে না ছেলে পাখির ডাক। সুমিষ্টি স্বরে বনান্তর মাতিয়ে রাখে ‘দাগি-বসন্ত’।

২৮ সেন্টিমিটারের এ পাখি আমাদের প্রতিটি পাহাড়ি বনেই রয়েছে। মাঝে মাঝে হয়তো বনের বাইরে বট বা পাকড়গাছে হঠাৎ এসে পড়ে। মাথা এবং বুক হালকা খয়েরি রঙের। আর বাকি পুরো শরীর সবুজ বলে ওর সারা গাছ ভরে থাকলেও ওকে সহজে দেখতে পাই না। বুকের মাঝে লম্বা লম্বা সাদা দাগের জন্যই ‘দাগি’ বলা হয়। এজন্য ওর নামকরণ দাগিবসন্ত। বিশেষ করে এই প্রজননের সময় অনেক ডাকে; ফলে বন একেবারে সোরগোল করে মাতিয়ে রাখে এই প্রজাতির পাখি।

গাছের কোটরে বাসা তৈরি করার স্থীর চিত্রটি ধারন করা হয় রাঙামাটির শহরের জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের একটি গাছ থেকে।

ছবি ও প্রতিবেদন - লিটন শীল।


সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions