লামায় পাহাড়ীদের ভূমি বিরোধ নিরসনকল্পে সংসদীয় কমিটির পরিদর্শন

প্রকাশঃ ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০৯:০০:০২ | আপডেটঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:৩১:৩৫

সিএইচটি টুডে ডট কম, আলীকদম (বান্দরবান)।  বান্দরবানের লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি লিঃ স্হানীয় ম্রো - ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলমান দীর্ঘদিনের ভূমি বিরোধ নিরসন কল্পে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ২নং সাব-কমিটি


বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ২নং সাব- কমিটির উচ্চ পদস্থ এই দল সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজাস্থ বিরোধীয় ভূমি পরিদর্শন করেন পরিদর্শন দলে ছিলেন, পার্বত্য রাঙ্গামাটি সাংসদ দীপঙ্কর তালুকদার এমপি, রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সংরক্ষিত (পার্বত্য) নারী সাংসদ বাসন্তি চাকমা


সাব কমিটির নেতৃবৃন্দরা সরেজমিনে তদন্ত কালেম্রো-ত্রিপুরা, লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির লোকজন, সংশ্লিষ্ট হেডম্যান, কারবারী জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনেন সময় বিরোধপুর্ণ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি,জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম ,লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা জাবেদ কায়সার উপজেলা .লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিছ কোম্পানি সহ বিরাজমান পরিস্থিতির সারমর্ম তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন


 জনপ্রতিনিধিরা জানান, ইতোপূর্বে জেলার শীর্ষস্থানীয়দের প্রস্তাবনানুযায়ী ৩৬টি পরিবারকে একর করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শ্মশানের জন্য মোট ২০০ শত একর জমি প্রদানের প্রস্তাব গৃহীত হয় কিন্তু ম্রো ত্রিপুরাদের একাংশ প্রস্তাবটি নাকচ করে এর ফলে বিরোধটি সমাধান হচ্ছে না

এই বক্তব্য শ্রবণের পর সাব কমিটি এর আহ্বায়ক রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন,স্থানীয়ভাবে গৃহীত প্রস্তাবটি ভালো ছিলো তিনি আরো বলেন, বিষয়টি আমরা জানলাম দেখলাম যেহেতু পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্পাদিত শান্তি চুক্তির পর থেকে ভূমি বন্দোবস্তি বন্ধ,বিষয়টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে এই ৩৬টি ম্রো পরিবারকে ২০০ শত এককর ভূমি বন্দোবস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে


তিনি আরো বলেন,বিষয়টি দ্রুত সময়ে মীমাংসা করা দরকার অন্যথায় সময় যত গড়াবে সবাই তত ক্ষতিগ্রস্থ হবেকথোপকথনে সাব কমিটির সদস্য সাংসদ দীপঙ্কর তালুকদার জানতে চায়, এখানে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানি আছে কিনা থাকলে তাদের অবস্থান কত দূরে


এই প্রশ্নের জবাবে বান্দরবান পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীদের এরকম কোন স্থায়ী অবস্থান এখানে নেই পুলিশ সুপারের বক্তব্যের সমর্থনে গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানও একই কথা বলেন সময় গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এই বিরোধের জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন লামা রাবার কোম্পানীকে দায়ী করে বলেন,উভয় প্রতিষ্ঠানের জমি পরিমাপ করা হলে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে


আলোচনান্তে জেলা প্রশাসক বলেন,”সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বন্দোবস্তির বিধান চালু করলে আমি অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিব


সময় লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল সাব কমিটিকে অবহিত করেন যে, বিরোধ মীমাংসা করতে তাদের দাবি পুরণের লক্ষে আমার অফিসেও বৈঠক হয়েছিল সেখানে ম্রো ত্রিপুরারা সব কিছু মেনে নেয়,কিন্তু পরবর্তীতে ৩য় কোনো পক্ষের ইন্ধনে সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাওয়ায় স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব হয়নি

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions