বান্দরবানে শুরু হলো ৩ দিনব্যাপী পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলন

প্রকাশঃ ১৭ মার্চ, ২০২৩ ০৫:০৪:০৫ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৫:৫৭:৩৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ভিক্ষুদের প্রাতিষ্টানিক ও ধর্মীয় শিক্ষা বৃদ্ধি, বুদ্ধের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানা আয়োজনকে সামনে রেখে বান্দরবানে শুরু হয়েছে ২য় পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলন।

২য় পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলন উপলক্ষ্যে ১৭ মার্চ (শুক্রবার) সকালে পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু পরিষদ এর আয়োজনে বান্দরবানের রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়।
পরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে  জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এসময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা , পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদের সদস্য ও অংজেয়া জাদি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত নাইন্দিয়া থের, পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক তিক্ষিন্দ্রিয় থৈরসহ তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষুরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এর হলরুমে শুরু হয় বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলন। এসময় সম্মেলনে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রায় ৫শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু অংশ গ্রহণ করে।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, গৌতম বুদ্ধের বাণী সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। গৌতম বুদ্ধ সবসময় শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন আর সেই বার্তা আমাদের এখনও সকলের মাঝে প্রবাহমান। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, বুদ্ধের শাসন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক এটা আমাদের কাম্য। এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য শান্তির কোন বিকল্প নেই, আজ পার্বত্য এলাকায় যে শান্তি বিরাজ করছে তার জন্য আওয়ামীলীগ সরকার বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দেশের উন্নয়ন ও শান্তির ধারা অব্যাহত রেখেছেন।

আয়োজকেরা জানান, ২য় পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলন উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী নানান আয়োজনে বিশ্বশান্তি কামনা, বুদ্ধ শাসন প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা উন্নয়ন এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আরো অধিক জ্ঞান বৃদ্ধিতে নানা ধরণের কর্মসুচী বাস্তবায়িত হবে, আর ১৯ মার্চ সমাপনী দিনে সমাজ সেবা ও অনন্য অবদানকারীদের সম্মাননা সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শেষ হবে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions