প্রকাশঃ ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০৫:৪৩:৩০
| আপডেটঃ ১১ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৫:৪১:০৮
ষ্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি। রাঙামাটি শহরের বনরুপার ফরেষ্ট রোডের কবরস্থানের পাশে নিহত হওয়া যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ও ঘাতক দুজনই বন্ধু। এসময় বাঁধা দিতে গিয়ে ১জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালের দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর পুলিশ সকাল ১১টার দিকে আসামীকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, রাঙামাটি শহরের বনরুপার ফরেষ্ট রোডের কবরস্থানের পাশে গতকাল শনিবার ভোর ৪টার দিকে নিহত ইজাজুল হক রাব্বির সাথে তার বন্ধুর সেলিম মাহমুদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। প্রথম পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হলে উভয় হুমকি ধামকি দিয়ে যার যার দোকানে চলে যায়। এক পর্যায়ে নিহত ইজাজুল হক রাব্বি ফোন করে সেলিম মাহমুদ ডেকে আনে। দ্বিতীয় পর্যায়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইজাজুল হক রাব্বির বুকের বাম পাশে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সেলিম মাহমুদ পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রাব্বির মারা যান। এসময় বাঁধা দিতে গিয়ে বনরুপা বাজারের নৈশ প্রহরী আমীর হোসেনকে পিঠে ছুরিকাঘাত করলে তিনি আহত হন। তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ইজাজুল হক রাব্বি কাটা পাহাড়ের জুতার ব্যবসায়ী মোজাম্মেণ হকের সন্তান। অন্যদিকে আসামী সেলিম মাহমুদের বাড়ী নরসিংদী জেলায়। সে বনরুপার রেষ্টুরেন্ট ম্যাগপাইয়ের এর কর্মচারী।
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনার বিবরণ জানাতে শনিবার বিকেল তিনটায় নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিং করেন জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তোহিদ। পুলিশ সুপার জানান, ‘নিহত ব্যক্তি ও আসামির মধ্যে বন্ধুত¦ ছিল। টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদে ছুরিকাঘাতে একজন আরেকজনকে খুন করেছে। আমরা ঘটনার পর সকাল ১১টার দিকে আসামিকে গ্রেফতার করেছি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে নিহত ইজাজুল হক রাব্বি ২০২১ সালে মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খেটে ছিল। তাই হত্যার পেছনে অন্য ঘটনা আছে কী-না সেটি উদ্ঘাটনে আসামিকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আসামি সেলিম মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে রাঙ্গামাটিতে চাকরির সুবাধে অবস্থান করছেন, পরিবারের সঙ্গেও তার যোগাযোগ নেই। এ ব্যাপারে মামলা রুজুসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামিকে রোববার আদালতে তোলা হবে।’
পুলিশ সুপার আরো জানান, রাঙামাটিতে আমরা কোনো ভাবেই ‘কিশোর গ্যাং’ সিস্টেম হতে দেবো না। এসব গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে বদ্ধপরিকর।’ প্রেস বিফ্রিংয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ ) মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) শাহনেওয়াজ রাজু ও কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নিহতের ঘটনায় এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এখনো মামলা হয়নি।