উন্নয়ন বোর্ডের শিক্ষাবৃত্তিতে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ পিসিসিপি

প্রকাশঃ ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০৮:৪৫:৩৯ | আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১১:৫৮:১৮

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ২০২১-২২ অর্থ বছরের শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে গত ২৫.০১.২০২৩ ইং তারিখেউক্ত তালিকায় সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের শিকার হয়েছে বাঙালীরা আজ শনিবার দুপুরে এই অভিযোগ এনে তিব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ২০২১-২২ অর্থ বছরের শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বছর রাঙামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি এই তিন জেলা থেকে বৃত্তি পেয়েছেন ২১৮৩ শিক্ষার্থী এদের মধ্যে বাঙালী শিক্ষার্থী ৬০০ এবং অবাঙালী তথা বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির শিক্ষার্থী ১৫৮৩ জন শতকরা হিসাবে দেখা যায় বাঙালী ২৭.৪৯% এবং অবাঙালী শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন ৭২.৫১% এই দুই সম্প্রদায়ের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী সংখ্যার ব্যবধান ৪৫ শতাংশের বেশি অন্যদিকে ২০২২ সালের জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন মতে, তিন পার্বত্য জেলা তথা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এবং বান্দরবান জেলার মোট জনসংখ্যা ১৮৪২৮১৫ জন এর মধ্যে বাঙালী ৯২২৫৯৮ (৫০.০৬%) জন এবং অবাঙালী/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৯২০২১৭ (৪৯.৯৪%) জন


কিন্তু জনসংখ্যানুপাতে শিক্ষাবৃত্তি বণ্টিত হলে বাঙালী এবং অবাঙালী তথা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীরা প্রায় সমান সমান হওয়ার কথা কিন্তু সমান ভাবে বৃত্তি না দিয়ে এমন বৈষম্য বাঙালী শিক্ষার্থীদের সাথে কেন করা হলো?

 

এবারের উন্নয়ন বোর্ডের শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পার্বত্য তিন জেলা থেকে বৃত্তি পেয়েছেন ২১৮৩ শিক্ষার্থী এদের মধ্যে বাঙালী শিক্ষার্থী ৬০০ এবং অবাঙালী তথা বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির শিক্ষার্থী ১৫৮৩ জন শতকরা হিসাবে দেখা যায় বাঙালী ২৭.৪৯% এবং অবাঙালী/উপজাতি শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন ৭২.৫১%


পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলার সভাপতি মো: হাবীব আজম বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালী ছাত্রছাত্রীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড নয়   উপজাতীয় শিক্ষার্থীরা ভর্তি চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি বৃত্তি পাচ্ছে কেবল উপজাতীয় হওয়ার সুবাদে পার্বত্য জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন থেকে শিক্ষা বৃত্তির মোটা অংকের অর্থ পেয়ে থাকে তারা এক্ষেত্রে বাঙালী শিক্ষার্থীরা তাদের থেকে যোগ্যতা সম্পন্ন দারিদ্রতার শিকার হয়েও উপেক্ষিত হচ্ছে


হাবীব আজম আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি থেকে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্ব পেয়ে সাম্প্রদায়িকতা থেকে বের  হতে পারছেন না তাদেরকে আগামীতে কোন প্রকার সরকারি দায়িত্ব দেওয়া না হয় সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ বলেন, আমরা এমন সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক শিক্ষাবৃত্তিতে সমানভাবে বাঙালী উপজাতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions