জুরাছড়িতে জেএসএস সন্ত্রাসীদের আবাসন ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান

প্রকাশঃ ০৯ জানুয়ারী, ২০২৩ ০১:৩৪:৩২ | আপডেটঃ ১২ জানুয়ারী, ২০২৫ ১১:৩৬:০১
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) ৭০-১শ সন্ত্রাসীর আবাসন ক্যাম্পে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে সেনা বাহিনী। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব না হলে ক্যাম্প থেকে গুলি, কাতুজ, অস্ত্র বহন সরঞ্জামসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে বলে সেনা সুত্রে জানা গেছে ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ -পূর্বে ৪০-৫০ কিলোমিটার দূরে  জুরাছড়ি- মৈদং-দুমদুম্যা সীমান্ত এলাকায় বেলতলা। বেলতলার পূর্বে  বিচ্ছিন্ন একটি নেরা পাহাড়। এখানে যাওয়ার একমাত্র ভরসা পায়ে হাটা। পাহাড়টি খুবই নির্জন হওয়াই সাধারণ মানুষের যাতায়াত খুবই কম।
সেনা বাহিনীর সুত্রে জানিয়েছে , এই পাহাড়ে গড়ে তোলা হয় জনসংহতি সমিতির  (জেএসএস) ৭০/১০০ জন সন্ত্রাসীর আবাসন ক্যাম্প। এই ক্যাম্পের থেকে পরিচালনা করা হয়  চাঁদাবাজি,  অপরণ ও সাধারণ মানুষদের ধরে এনে পাসবিক হিংস্রতা- নির্যাতন।  গেল ৪,৫,৬ জানুয়ারি  অদ্বিতীয় দুই জুরাছড়ির জোনের সেনা বাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। 

সেনা সুত্রমতে ৭০-১০০ জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্ত্রাসীদের আবাসিক ক্যাম্পে সেনা বাহিনীর থের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে ক্যাম্প থেকে গুলি, কাতুজ, চাঁদাবাজির রশিদ  বইসহ সন্ত্রাসীদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পাওয়া গেছে। এছাড়াও এক মেট্রিক্টটন খাদ্যসশ্য ও বিপুল পরিমাণের গবাদিপশু পাওয়া যায়।

এতে সাধারণ মানুষের মাঝে কিছুটা আতংক বিরাজ করলেও সন্ত্রাসীদের ক্যাম্পে বিশেষ অভিযানে স্থানীয়দের স্বস্তি এসেছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।

জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলকিফলী আরমান বিখ্যাত পিএসসি বলেন, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশে  কাউকে অবৈধ ভাবে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসবাদ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। তিনি এলাকার সকলের সহযোগিতা মাধ্যমে এসব সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড প্রতিরোধ করে উপজেলাকে সন্ত্রাস মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ উপজেলা গড়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions