খাগড়াছড়িতে নতুন বই পায়নি অর্ধেকের বেশী শিক্ষার্থী

প্রকাশঃ ০২ জানুয়ারী, ২০২৩ ০৪:২১:০২ | আপডেটঃ ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫ ১২:০৭:৩৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। সারাদেশের মতো পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে আজ থেকে শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের নতুন শিক্ষাক্রম। রোববার সকাল থেকে জেলার সবক’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়। বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে বছরের প্রথম দিনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্য পুস্তক পৌঁছে গেলেও এ বছর তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে এখনও পৌঁছেনি নতুন পাঠ্যপুস্তক। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পায়নি পুরোপুরি বই।

শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক পর্যায়ের ৭ শ ৬টি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ২ শ ৩২ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬ শ ৯২ টি পাঠ্যপুস্তকের চাহিদার বিপরীতে মিলেছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬ শ ৫৯ টি। যা মোট চাহিদার ৩৮ শতাংশ। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য শতভাগ পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ পাওয়া গেছে। মাধ্যমিকে পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা সাড়ে ৯ লাখ হলেও দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ছাড়া অন্য মাধ্যমের পুরোপুরি পুস্তক পাওয়া যায়নি।

খাগড়াছড়ির জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন জানান, কাগজ সংকটে মুদ্রণ জটিলতায় এ বছর সঠিক সময়ে পাঠ্যপুস্তক এসে পৌঁছেনি। জানুয়ারী মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সব বিদ্যালয়ে শতভাগ নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে, জেলা সদরের ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রোববার দুপুরে বই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রæ চৌধুরী। এ সময় তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা অন্যান্যের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন।  

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions