“১৯০০ সালের আইন পাহাড়ের মানুষের অস্তিত্ব ও স্বকীয়তার বজায়ের রক্ষা কবচ”

প্রকাশঃ ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৬:৪৪:২৩ | আপডেটঃ ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫ ০২:৪৯:০০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিষয়ক মতবিনিময় সভা বুধবার রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাপেং ফাউন্ডেশন ও সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক এর  যৌথ উদ্যোগে রাজবাড়ীস্হ সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক এর  হল রুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সদস্য ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কংজেরী চৌধুরী। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মংসানু চৌধুরী, জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান,  সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক এর সাধারন সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা, এ্যাডভোকেট ভবতোষ দেওয়ান প্রমুখ।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা। মতবিনিময় সভায় তিন পার্বত্য জেলার  প্রথাগত হেডম্যান-কারবারী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় বক্ত বলেন, দুইশ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ সালের আইন পাহাড়ের মানুষের অস্তিত্ব ও স্বকীয়তার বজায়ের রক্ষা কবচ।  এই আইনটি বাতিলের দাবীতে হাই কোর্টে রিটসহ নানান ষড়যন্ত্র চলছে। তাই আইনটি রক্ষায় আইনী লড়াইয়ের পাশাপাশি  নিজেদের অস্তিত্ব ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছর অতিবাহিত হলেও চুক্তির বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে এখানকার পরিস্হিতি জটিল হচ্ছে। চুক্তির আলোকে গঠিত পার্বত্য ভুমি কমিশনের বিধিমালা প্রনয়ন না হওয়া ভুমি সমস্যা সমাধান হতে পারছে না।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, ছয় বছরেও পার্বত্য ভুমি কমিশনের বিধিমালা প্রনীত হয়নি। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন, পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। আমি বেচে থাকতে এই চুক্তি বাস্তবায়ন দেখতে পাবো কিনা জানি না।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions