প্রকাশঃ ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৩:৫১:১৯
| আপডেটঃ ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫ ১২:৪১:৫৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড় ও সমতলের অপূর্ব মেলবন্ধনে গড়ে উঠা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম ডিজিটাল প্লাটফর্ম হিল ই-কমার্স সোসাইটি (হিলস) এর মাত্র দেড় বছরে ১লাখ সদস্য ছাড়িয়ে গেছে। শুধু তাই নয় এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে ৩০ জন উদ্যোক্তা লাখপতি হয়েছেন ও সদস্য উদ্যোক্তাদের আয় ৩ কোটি টাকার উপরেও ছাড়িয়ে গেছে। ফলে এর মাধ্যমে পাহাড়ে আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে। এসব সাফল্যতে আগামী দিনে পাহাড়ের সকল স¤প্রদায়ের উৎপাদিত পন্য একসাথে পাওয়ার লক্ষে উদ্যোক্তা অঞ্চল গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছে সংগঠনটি।
গতকাল শুক্রবার রাঙামাটিতে হিল ই-কমার্স সোসাইটি (হিলস) এর ই কমার্স গ্রæপের ১ লক্ষ সদস্যের মাইল ফলক স্পর্শ করায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানা গেছে।
রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির পরিচালক আশিক সুমন। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও এডমিন মনিরা পারভীন মনি(মনি পাহাড়ী), জন্মভুমি ট্যুরিজমের সমন্বয়কারী মাহফুজুল হক, হিলস এর কনসালটেন্ট ওমর ফারুখ, পরিচালক রন্ত তংচংগ্যা, হিলস এর সিনিয়র মডারেটর সুশান্ত তংচংগ্যা,প্রীতম চাকমা, সদস্য তুষার চাকমা, নিশা চাকমা, স্বপ্না চাকমা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২১ সালে হিলস ই -কমার্স প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যবসা পরিচালনা ছাড়াও পাহাড়ের জনজীবন ও প্রকৃতিকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে তুলে ধরছে। এতে সারাদেশের মানুষের সাথে মেলবন্ধর তৈরী হওয়ায় পাহাড়কে জানার ও আকর্ষন বোধ গভীরভাবে সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আবদান রাখছে হিলস।
সংবাদ সন্মেলনে আরো বলা হয়, হিলস ই -কমার্স প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন মেলা, প্রশিক্ষণ, দেশী-বিদেশী বায়ারের সাথে সমন্বয় মিটিং করেছে। এ ডিজিটাল প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে পাহাড়ের ছোট উদ্যাক্তা থেকে রপ্তানীকারক তৈরীতে কাজ করছে। একই সাথে এ এতে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফান্স, লন্ডন, ইতালী ভারতসহ বিশে^র বহু দেশে পৌছেছে পাহাড়-মতলের ঐতিহ্যবাহী নানান সৃষ্টি। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠান মানবিক সহায়তা হিসেবে শিক্ষার্থীদের অনুদান, অসুস্থ মানুষকে সহায়তা বন্যা দুর্গতদের পাশে দাড়িয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে পাহাড় থেকে সমতলে পিনন হাদিসহ ঐতিহ্যবাহী পোশাক, অলংকার, বাঁশের তৈরীর নানান জিনিস, ব্যাগ, শীতের শাল, বুরগি, বিভিন্ন ফলমুল ও জুমে উৎপাদিত সবজি ইত্যাদি। আর সমতল থেকে পাহাড়ে নিয়ে আসা হচ্ছে জামদানি শাড়ি, মনিপুড়ী শাড়ি, ওরনা, শতরঞ্জি সিজনাল ফুলমুলসহ অর্গানিক নানান কিছু।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠান আগামী দিনে একটি উদ্যোক্তা অঞ্চল গড়ে তোলার স্বপ্ন রয়েছে। এতে পাহাড়ে উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রি ছাড়াও থাকবে পাহাড়ের সাংস্কৃতিক আয়োজন। এই স্বপ্নের জায়গাটি ছুঁেয় যেতে পারলে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আরো বেশী আকৃষ্ট করা যাবে। তবে এ জন্য প্রয়োজন সরকারী-বেসরকারী দায়িত্বশীল সংসস্থা ও ব্যক্তিবর্গের মনোযোগ ও সহযোগিতা।