রাঙামাটিতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন

প্রকাশঃ ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:১৫:৪৩ | আপডেটঃ ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫ ১১:৫৭:২৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় ১৬ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.ই.এম. ইসমাইল হোসেন এ রায় দিয়েছেন।

দন্ডপ্রাপ্ত মো. আব্দুর রহিম (৪৬) জেলার লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি আর.এস. উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সে লংগদু উপজেলার মাইনিমুখ মুসলিম ব্লক এলাকার আবু ছায়েদের ছেলে।

মামলার নথি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এক স্কুলছাত্রী ছাগল খুঁজতে বের হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম তাকে লেবু দেবার কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে স্কুলের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে। করোনাকালীন সময়ে কারণে ওই সময়ে স্কুলের ছাত্রাবাসে কেউ ছিল না। বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকি দিতে থাকে ওই প্রধান শিক্ষক। পরবর্তীতে ঘটনার ৯ দিন পর ৫ অক্টোবর পরিবার থেকে লংগদু থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়। এ মামলায় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো তিন বছরের সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত।

রায়ে আদালত বলেছেন, আসামি যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক একইস্কুলের ছাত্রী ছিল ভিকটিম। আসামি বিবাহিত হয়ে একদিকে যেমন পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, অন্যদিকে তার নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকতার মহান পেশাকে কলঙ্কিত করেছে। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য চেষ্টা করেছে। আসামি প্রকৃতপক্ষে একজন প্রতারক এবং বিকৃত যৌনাচারের ধারক ও বাহক। জরিমানার ১০ লাখ টাকা শিশু ভিকটিম ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রাপ্ত হবেন।

এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ বলেন, এই রায়ে আমরা সংক্ষুদ্ধ। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমরা প্রমাণ করতে পারায় বিজ্ঞ আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- প্রদান করেছেন। এমন রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।


সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions