পার্বত্য পরিস্থিতি ও উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষনে চার দেশের রাষ্ট্রদূত

প্রকাশঃ ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:৪৯:০১ | আপডেটঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৯:৫৬:১০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আজ মঙ্গলবার থেকে রাঙামাটিতে দুদিনের সফরে এসেছেন চার দেশের রাষ্ট্রদূতসহ আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। এতে জাতিসংঘের উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ভবিষ্যতে  উন্নয়ন কার্যক্রম অগ্রাধিকার বিষয়ে আগ্রহ জানতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতে আসেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।   

সূত্র জানায়, রাঙামাটিতে সফরের প্রথম দিনে গতকাল প্রতিনিধি দলটি সকালের দিকে পৃথক পৃথকভাবে  পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকম ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রæ চৌধুরীর সাথে নিজ নিজ কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি ষ্টিফেন লিলার। এসময়  প্রতিনিধি দলটি প্রতিনিধি দল সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি ছাড়াও পার্বত্য চুক্তির আলোকে গঠিত পরিষদগুলো এখানে কিভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করে এবং  এখানকার মানুষ কিভাবে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করেছে এ সম্পর্কে জানতে চান।

এসময় প্রতিনিধি দলকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চল। বিশেষ করে রাঙামাটির কাপ্তাই লেককে কেন্দ্র করে যদি পর্যটন উন্নয়ন করা যায় তাহলে লেক নির্ভর এখান বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ উপকৃত হবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান শীর্ষক প্রকল্পটি ইউনিসেফের সহায়তায় চলমান রয়েছে, যা আগামী বছর ৩০জুন শেষ হবে। প্রকল্পটি সমাপ্ত হওয়ার পর যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য ইউনিসেফের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।

অপরদিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের অংশ হিসাবে পার্বত্য চুক্তি সই হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, ভারত প্রত্যাগত এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে টাস্কফোর্স এবং ভূমি সমস্যা সমাধানে ভূমি কমিশন সৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য চুক্তির পরবর্তী বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বান্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চুক্তির পর ইউএনডিপির মাধ্যমে বিদেশী দাতাদের সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল জাতীয়করণ, ম্যালেরিয়া নির্মূলকরণ এবং কৃষিক্ষেত্রে সাফল্য আত্বসামাজিক উন্নয়নসহ নারীশিক্ষা উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দাতা সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।  

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান চার্ললেজ হোয়াটলি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট সেটরন ডিকসন, নরওয়ে রাষ্ট্রদূত স্পেন রিকাটার সেভেন্টসেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গাইয়ন লিওস। সাক্ষাত সময়ে জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া,ঝর্না খীসা, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মোঃ শিবলী নোমান উপস্থিত ছিলেন।  প্রতিনিধি দলটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সাথে সাক্ষাত ছাড়াও স্থানীয় নারী নেতৃবৃন্দের সাথে  মতবিনিময় করেন। কাল (বুধবার) দাতা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত প্রত্যান্ত জুরাছড়ি উপজেলার গ্রামীন সাধারণ বন(ভিসিএফ) পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।


সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions