প্রকাশঃ ৩০ জুন, ২০২২ ১০:৪৮:৩৩
| আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ০৫:৪২:১৯
নুরুচ্ছাফা মানিক, সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ির পাহাড়ে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় উষ্ণ পানীয় কফির চাষ। কৃষি গবেষণা ও হর্টিকালচার সেন্টারের পরীক্ষামূলক চাষ আলোর মুখ দেখায় কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে। প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতের ব্যবস্থা হলে পাহাড়ের নতুন অর্থকরী ফসল হিসেবে কফি জাড়া জাগাবে দাবি কৃষিবিদদের।
কৃষিবিদদের দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামের আবহাওয়া ও মাটির প্রকৃতি আশা জাগাচ্ছে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় উষ্ণ পানীয় কফির চাষের সম্ভাবনাকে। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ হওয়া কফির উৎপাদন দেখে এমন দাবি সংশ্লিষ্টদের।
পরীক্ষামূলক ভাবে পাহাড়ে উৎপাদিত কফির রঙ, ঘ্রাণ ও ক্যাফেইনের গুণগত মান অনন্য। স্বাদের দিক থেকেও বাজারে সহজলাভ্য কফির মত এ অঞ্চলের কফি নাম কুড়াবে বলছেন অনেকে।
খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কফি বাগানের পরিচর্যাকারী হুমায়ুন কবির জানান, পরীক্ষামূলক ভাবে উৎপাদিত কফির খোসা ছাড়ানোর পর প্রক্রিয়া করা হয়। প্রক্রিয়াজাত শেষে উপযোগীর কফির ঘ্রাণ ও স্বাদ যে কারো মনকে ভুলিয়ে দিবে। পাহাড়ের উৎপাদিত কফির স্বাদ ও বাজারের কফির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
খাগড়াছড়ির পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, ২০০১ সাল থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে কফি চাষ শুরু হয়। নানা প্রতিকূলতা পার করে বর্তমানে সাড়ে ৪ শ কফি গাছে থেকে মিলছে ফলন। আরও কয়েক বছর পরীক্ষণটি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বাজারজাত ব্যবস্থা ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের পরিকল্পনার কথা ভাবছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী আব্দুর রশিদ বলেন, পাহাড়ের পতিত জমিতে কফি চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব। কৃষকের দোরগোড়ায় কফি চাষ পৌঁছে দিতে এখন বড় বাধা বাজারজাত করণ ও প্রক্রিয়াজাত। আশা করছি, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ বিষয়ে সু নজর দিলে এ প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, খাগড়াছড়ির হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, কফির চাষ সম্প্রসারণে ২০২০ ও ২০২১ অর্থ বছর থেকে কাজ করছে হর্টিকালচার সেন্টার। বর্তমানে খাগড়াছড়ির ৪ উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে ১ শ ৫ টি কফির প্রদর্শনী প্লট রয়েছে। কৃষক পর্যায়ে এসব প্রদর্শনী খুব ভালো হচ্ছে।