পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্ধ হচ্ছে না বন্যপ্রাণী শিকার

প্রকাশঃ ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০৬:২৫:৪৬ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০৫:১৪:৫৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় বন্ধ হচ্ছে না বন্যপ্রাণী শিকার। শখের বশে কিংবা খাদ্য হিসেবে পাহাড়ে বিলুপ্ত প্রায় সাপ, সজারু, বন্য শুকর, হরিণ সহ বন্যপ্রাণী প্রতিদিন শিকার হচ্ছে। স্থানীয় বনবিভাগ কিংবা সংশ্লিষ্টদের নজরদারি ও সচেতনতার অভাবে দিন দিন এটি বাড়ছে বলে মত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সংগঠনগুলোর।

সবশেষ শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের চন্দ্র কিরণ কার্বারী পাড়ায় কিং কোবরা প্রজাতির একটি সাপ মেরে শিকার করে স্থানীয় এক যুবক। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মী বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন।

দিদারুল আলম রাফি নামে ওই কর্মী জানান, প্রতিষ্ঠানের কাজে শুক্রবার বিকেলে তিনি দীঘিনালার চন্দ্র কিরণ কার্বারী পাড়ায় যান। স্থানীয় এক যুবক মাথা বিহীন একটি সাপ নিয়ে আসতে দেখে আগ্রহের বশে ছবি ধারণ করি। পরে তাঁর কাছে জানতে পারি পাহাড় থেকে ফেরার পথে জঙ্গলে সাপটি দেখতে পেয়ে দাঁ দিয়ে মাথা দ্বিখন্ডিত করে সেটি বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।

ওয়াল্ড লাইফ বিষয়ক সাংবাদিক আমিনুল মিঠু জানান, যুগ যুগ ধরে আদিবাসী জনগোষ্ঠীরা প্রোটিনের সংকট মেটাতে বন্যপ্রাণী শিকার করত। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রোটিনের ব্যাপক উৎস রয়েছে। জীববৈচিত্র ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় এখনই আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে হবে। বনবিভাগকে অর্থনৈতিক বৃক্ষ-কাঠের বাইরে বন্যপ্রাণীকে বনের সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এ ছাড়া বন্যপ্রাণীর মাংস খাবার হিসেবে গ্রহণ করলে নানা ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবু রাম চাকমা জানান, বন্য প্রাণী শিকারের কোন তথ্য পেলে অভিযান করে তা উদ্ধার করা হয়। এটি দেখার জন্য চট্টগ্রামে আলাদা আরেকটি ডিভিশন রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন বন্যপ্রাণী উদ্ধার হলে ডিভিশনের মাধ্যমে তা রক্ষণাবেক্ষণ ও অবমুক্ত করা হয়।


সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions