পরিত্যক্ত জায়গায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণায় ইউপিডিএফের আপত্তি

প্রকাশঃ ০২ মার্চ, ২০২১ ০১:৩৭:৫৩ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০১:০০:৪০
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর মুখপাত্র অংগ্য মারমা আজ সোমবার ১ মার্চ ২০২১ এক বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রত্যাহারকৃত সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পের জায়গায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের ঘোষণায় তীব্র ক্ষোভ ও আপত্তি জানিয়ে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণা আশি দশকের গণবিরোধী ফৌজি শাসকদের কণ্ঠেরই প্রতিধ্বনি, যা দেশের কোন সচেতন নাগরিক মেনে নিতে পারে না।

তিনি বলেন, ‘সরকারের এই উদ্যোগ কেবল ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক চেতনার পরিপন্থীই নয়, তা পাহাড়ি জনগণের সাথেও চরম বিশ্বাসঘাতকতার সামিল।’

পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘শান্তি’ স্থাপন নয় (সেটা উছিলা মাত্র), আসলে বান্দরবানের চিম্বুকে পাহাড়ি স্বার্থ বিরোধী পাঁচ তারকা হোটেল-পর্যটন ব্যবসার বিরুদ্ধে গণঅসন্তোষসহ জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমন ও পাহাড়ের মূল্যবান বনজ সম্পদ লুণ্ঠন নির্বিঘœ করার হীন উদ্দেশ্যে লুঠেরা বান্ধব সরকার এ ধরনের গণবিরোধী পদক্ষেপ নিতে চাইছে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ মুখপাত্র বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘বর্তমানে মাটিরাঙ্গা-গুইমারাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নাকের ডগায় বিশেষ গোষ্ঠীর সৃষ্ট সন্ত্রাসী চক্র খুন, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। রাঙামাটি ও দক্ষিণাঞ্চল বান্দরবানে তথাকথিত মগ পার্টি নামধারী বিশেষ গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা অনুরূপভাবে জনজীবন বিষিয়ে তুলেছে। অথচ সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’

অংগ্য মারমা বিবৃতিতে আরও বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ আগষ্ট খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে বিশেষ গোষ্ঠীর সৃষ্ট সন্ত্রাসীদের পরিচালিত চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের ঘটনার সময় বাজারে পাহারারত পুলিশ সদস্যরা ও নিকটস্থ বিজিবি সেক্টর সদর গেইটের জওয়ানরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল।


অংগ্য মারমা অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সৃষ্ট ও নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোকে ভেঙে দেয়ার দাবি জানান।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions