গভীর রাতে যুবলীগ নেতা নাসিরের বাসায় হামলার অভিযোগ

প্রকাশঃ ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১১:৪৪:৪১ | আপডেটঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:২৬:০০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বহিস্কৃত রাঙামাটি শহরের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিনের বাসায় এবার রাতে হামলা চালিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় রাঙামাটি শহরের চম্পকনগর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে ৭/ ৮জনের একটি দুবৃর্ত্তের দল যুবলীগ নেতা নাসিরের চম্পকনগরের ভাড়া বাসায় হামলা চালায়, রাত সাড়ে ৩টার পর নাসিরের বাসার দরজা ভেঙ্গে দুবৃর্ত্তরা বাসায় প্রবেশ করে নাসিরের গলা চেপে ধরে এবং খাট ও টেবিল কুপাতে থাকে,, পরিবারের অন্য সদস্যদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুবৃর্ত্তরা পালিয়ে যায়।

নাসির জানায়, আমি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, হামলা কারিরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য ২দিন সময় দিয়ে বলেছে, ২ দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না করলে আমাকে হত্যাসহ আমার ছেলেকে অপহরন করবে।

হামলাকারি কারা চিনতে পেরেছেন কিনা জানতে চাইলে নাসির জানায়, আমাকে যারা কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে এবং মামলার আসামী তারাই এই হামলা করেছে, তবে মুখোশ পড়া থাকায় তাদের চেহারা দেখা যায়নি তবে কন্ঠে বুঝতে পেরেছি।

নাসির জানায়, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আজ সকালে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলেও পুলিশ সেটা গ্রহণ করেনি।

এ বিষয়ে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম জানান, নাসির থানায়  একটি জিডি করতে আসে, আমরা এর একটি কপি রেখে দেই,, ওসি সাহেব আসলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত: চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে অগঠনতান্ত্রিভাবে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয় হয়  ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নাসিরকে, পরে নাসির চাঁদাবাজির বিষয়ে মিডিয়ায়তে মুখ খোলায়  গত ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে অন্ধকারে মাথা এবং পায়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে যায়, পরে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার দিন মামলা করতে গেলেও পুলিশ গড়িমসি শুরু করে পরে  ঘটনার ৩দিন পর ৮জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ মামলা নেয়। আসামীরা হলেন রাঙামাটি শহরের ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আরিফ, জেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক মোঃ মিজান, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ শাকিল, ছাত্রলীগ কর্মী আজমীর, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপংকর দে, পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব খানসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন।  এর মধ্যে শাকিলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions