দীঘিনালায় সড়কের সরকারি বৃক্ষ কেটে নিলো ছাত্রলীগ নেতা !

প্রকাশঃ ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০৮:০৮:০৩ | আপডেটঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:৪৩:৪৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্য বোয়ালখালী এলাকায় দীঘিনালা-লংগদু সড়কের ২নং কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের বেশকিছু মূল্যবান সরকারি বৃক্ষ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে  ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন রাজু’র বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেরুং রসিকনাগর এলাকার নুর ইসলামের ছেলে ও মেরুং (উত্তর) ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষের যথাযথ কোন অনুমোদন ছাড়া ১১টি মেহগনি, ৫টি রেইন ট্রি কড়ই গাছ, ৪টি তুলা গাছ, ৪টি কাঁঠাল গাছ, ৩টি সুরুজ গাছ, ১টি মাদাল গাছ, ১টি ভাদী গাছ এবং ১টি জাম গাছসহ ৩০ বয়েসী গাছ কেটে নিয়েছে।

সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, কেটে নেয়া গাছের বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা হতে পারে। ঘটনার খবর পেয়ে সড়ক বিভাগের উদ্যোগে কাটা গাছের গুড়িগুলো নিজেদের আয়ত্বে আনতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা রাজু তড়িগড়ি করে গাছগুলো লুকিয়ে ফেলে। এরমধ্যে যেসব গাছ সড়কের পাশে সড়ক বিভাগের পাহারাধীন ছিল, ওখান থেকেও ২০ হাজার টাকা মূল্যমানের গাছ চুরি হয় রাজু’র নেতৃত্বে।

খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে দীঘিনালা সওজ’র উপ-সহারি প্রকৌশলী রমেন চাকমা বাদী হয়ে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দীঘিনালা থানায় একটি জাহাঙ্গীর হোসেন রাজু’র বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়।
কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে অভিযুক্ত রাজু বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন-এর সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জেলায় সরকারি অর্থে সড়ক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের নামে বেধড়ক পাহাড় কাটা চলছে। দরিদ্র মানুষের জীবিকার অবলম্বন সরকারি রাবার বাগানের জায়াগা-জমি দখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। ছড়া-খাল-নদী থেকে দেদারছে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি ও মাটি। এসব পরিবেশ বিরোধী বেআইনী কর্মকান্ডে সরকারি দলের প্রভাবশালীরা সম্পৃক্ত থাকায় স্থানীয় প্রশাসনও তাঁদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন পরিবেশ আন্দোলনের এই সংগঠক।

দীঘিনালা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত পর্যায়ে। প্রমাণ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions