“যন্ত্রাংশবাহী ট্রাক ছাড়াতে বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি কেপিএম”

প্রকাশঃ ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১০:৩৭:৩৮ | আপডেটঃ ০১ মে, ২০২৪ ০১:০২:৪৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, কাপ্তাই (রাঙামাটি)। কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী কাগজ কল (কেপিএম) থেকে পুরাতন যন্ত্রাংশের আড়ালে নতুন যন্ত্রাংশ পাচারের অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে মালবাহী ট্রাক আটকের ৪৮ ঘন্টা অতিক্রম হলেও এখনো বৈধ কোন কাগজ দেখাতে পারেনি কেপিএম কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১৪ই ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চন্দ্রঘোনা ইউপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি এ কথা বলেন।


এদিকে আটককৃত মালামাল ও ট্রাক ছাড়াতে দফায় দফায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন কাগজ উপস্থাপন করেছে কেপিএম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মালামাল ছাড়াতে হলে বিসিআইসির বোর্ড সভায় মালামালগুলো বিক্রয়ের অনুমোতিপত্র থাকতে হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, কোন শাখার মালামাল অপ্রয়োজনীয় ও পরিত্যক্ত ঘোষণার পরেই তা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় এগোতে পারে। এছাড়া টেন্ডারে সরবরাহকৃত মালামালের সাথে চালানের মালামালের তালিকা থাকতে হবে। কিন্তু সরবরাহকৃত মালামাল মিলের ফটক দিয়ে অতিক্রম করার সময় সম্পূর্ণ মালের তালিকা সঙ্গে রাখার কথা থাকলেও কোন তালিকাই দেখাতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. আরিফ। পাশাপাশি উপস্থাপনকৃত সরবারহ চালানে ‘সিলেট ট- ০২-০০২৬’ গাড়ীতে ৫০ মেট্রিক টন মালামাল পরিবহনের কথা উল্লেখ থাকতে দেখা যায়। যার রীতিমত নিয়ম বহির্ভূত। পাচার হওয়া মালামালবাহী ট্রাক জনতার হাতে আটক হওয়ার ৪৮ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও সঠিক তথ্য সম্বলিত কাগজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিকট দেখা সক্ষম হয়নি কেপিএম ও বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন নাগরিক সমাজে বলে মন্তব্য করে তিনি।

অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, রাঙামাটি জেলা আ.লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. হানিফ, চন্দ্রঘোনা ইউপি আ.লীগের সভাপতি মো. ইলিয়াছ মিয়া, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মানিক সহ চন্দ্রঘোনা ইউপি সদস্যগণ।

উল্লেখ্য, গত ১২ই ফেব্রুয়ারী কর্ণফুলী পেপার মিল্স লি. (কেপিএম) থেকে পুরাতন স্ক্র্যাপ যন্ত্রাংশের আড়ালে কয়েক লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ পাচারে অভিযোগে স্থানীয় জনতা, প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় ৩টি ট্রাক আটক করা হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের উপর ক্ষিপ্ত হলে জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এই বিষয়ে কথা বলতে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এমএমএ কাদেরের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions