বিজয়ের মাসে অন্তত চুক্তির একটি মৌলিক বিষয় বাস্তবায়নের দাবি উষাতনের

প্রকাশঃ ০২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৭:০১:৩১ | আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৬:৫৫:০৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক হলেও তাকে ভুল বোঝানো হচ্ছে, তাকে সঠিক তথ্য দেয়া হচ্ছে না। জেএসএসকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ সংগঠন বানানো হচ্ছে অথচ জেএসএস গনতান্ত্রিক আন্দোলন করে।

উষাতন তালুকদার আরো বলেন, চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি, জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ কার্যকর করা হয়নি। চুক্তি অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আইন-শৃঙ্খলা, পুলিশ (স্থানীয়)  ও ভূমি ব্যবস্থাপনা হস্তান্তর করা হয়নি। আজ শান্তি চুক্তির যেমন বর্ষপুর্তি তেমনি বিজয়ের মাস শুরু, এই মাসে সরকার প্রধানের কাছে আহবান থাকবে এই বিজয়ের মাসে চুক্তির একটি মৌলিক বিষয় যেন বাস্তবায়নের উদ্যেগ নেন।

শান্তি চুক্তির ২২তম বর্ষপুতি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উদ্যেগে রাঙামাটির জিমনিসিয়াম মাঠে  আয়োজিত গনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জনসংহতি সমিতির  জেলা কমিটির সদস্য শ্যাম রতন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। এতে বক্তব্য রাখেন- এমএন লারমা মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশনের আহবায়ক বিজয় কেতন চাকমা, যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুণ ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি জুয়েল চাকমা, হিল উইমেন্স ফোরেশনের সভানেত্রী আশিকা চাকমা প্রমুখ। সমাবেশের পর জিমনেসিয়াম চত্ত্বর হতে দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত শোভাযাত্রা প্রদক্ষিণ করা হয়।

সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার পার্বত্য চুক্তি করেছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছা না থাকায় গত ২২ বছরেও এ চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে পারেনি- যার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। পার্বত্য চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে চুক্তিবিরোধীরা।



সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions