জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ০৩ নভেম্বর, ২০১৯ ১১:৪৫:০১ | আপডেটঃ ২৩ মার্চ, ২০২৪ ০৪:০০:৫১
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতার জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকালে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতার জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বান্দরবান এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মোঃ শফিকুর রহমান।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম মুন্নার সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওযামীলীগের সহ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কান্তি দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যসাপ্রু মারমা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদেক হোসেন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক অনিল কান্তি দাশ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক কেলুমং মারমা, শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি প্রজ্ঞাসার বড়–য়া পাপন, পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি মিলন পাল সহ প্রমুখ।

এসময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ বলেন, চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষী হচ্ছে জেলহত্যা দিবস। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিব নগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে এদেশের জনগণকে একত্রিত করে দেশের বিজয়ের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছেন সেই চার নেতাকে চরম নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তবে মৃত্যুর আগে এই চার নেতা রেখে গেছেন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। যা সমর্পিত ছিল দেশ ও মানুষের কল্যাণে। ভাষা আন্দোলন দিয়ে শুরু এরপর মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্র বিনির্মাণে ছিলেন তারা অগ্রপথিক। আর সেটাই কাল হলো তাদের জন্য।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকদের প্রধান শত্রুতে পরিণত হন চার নেতা। আর তাই তাদের হত্যা করে নিশ্চিত থাকতে চাইলেন ষড়যন্ত্রকারীরা। আসলে পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট এবং তেসরা নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দিয়ে তারা মনে করেছে বাংলাদেশকে পাকিস্থানী দেশে নিতে পারবেন কিন্তু তারা নিশ্চিত হতে পারেনি, তাই এই তেসরা নভেম্বরের জেলহত্যা। জেল হত্যার মতো জঘন্য হত্যাকান্ড পৃথিবীতে খুব কম হয়েছে। এমনই দুর্ভাগা দেশ, যেখানে জেলখানার মতো জায়গায় নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে জাতীয় নেতাদের হত্যা করা হয়।
এসময় বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ আরো বলেন, এমন ঘটনা যেন আর ঘটতে না পারে, তার জন্য এখন থেকে আমাদের সকলকে আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

এসময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী চার জাতীয় নেতাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩ নভেম্বর সেখানেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাদের। জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যার এ ঘটনায় তখনই লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু ২১ বছর ধরে এ হত্যাকান্ডের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার জেল হত্যা মামলার প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে। এরপর দীর্ঘ আট বছরেরও বেশি সময় বিচারকাজ চলার পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০ আসামির মধ্যে ১৫ সাবেক সেনা কর্মকর্তার শাস্তি ও অপর পাঁচজনকে খালাস দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে পলাতক তিন আসামিকে মৃত্যুদন্ড এবং অপর ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions