প্রকাশঃ ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৭:২২:৫২
| আপডেটঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৩৬:৩৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেছেন, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে একজন ভালো ছাত্র গড়ে উঠা সম্ভব, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা যদি তাদের দায়িত্বের প্রতি সচেষ্ট না হন, তাহলে একজন ভালো ছাত্র সৃষ্টি হওয়ায় তো দুরের কথা শিক্ষা জীবনটাই বিফলে যাবে। তাই পাঠদানে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মনোযোগী হতে হবে, আর শিক্ষার্থীর ঠিকমত স্কুলে যায় কিনা, পড়াশোনা করছে কিনা, বাজে ছেলে মেয়েদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন কিনা এসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সমন্বয়ে একজন ভালো ছাত্র গড়ে উঠতে পারে।
রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলন চাকমার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পল্লব হোড়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারি প্রধান শিক্ষিকা রাজশ্রী চাকমাসহ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগন ও বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ আরো বলেন, একজন শিক্ষকের সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধতা আছে। এ কাজ ও দায়বদ্ধতা সহকর্মীদের কাছে, সমাজের কাছে, দেশ ও জাতির কাছে, আগামী প্রজম্মের কাছে। একজন সফল মানুষের পেছনে শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। শিক্ষক শুধু সফল নয়, একজন ভালো মানুষ হতে শেখান। মানবিক বিপর্যয় বা বৈশ্বিক, অর্থনৈতিক সংকটে আক্রান্ত হয়েও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনির্মাণে শিক্ষকরা অবিরাম ভূমিকা রেখে চলেছেন। শিক্ষক হচ্ছেন সভ্যতার ধারক-বাহক। শিক্ষক শুধু শিক্ষাদানই করেন না, তিনি মানুষ গড়ার কারিগরও।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র হচ্ছে একটি পরিবারের মত একজন আরেকজনকে ছাড়া চলতে পারবে না, তাই আমাদের পাঠদানে আন্তরিক হতে হবে। ছাত্র/ছাত্রীদের নৈতিকতা শিক্ষা দিতে হবে।
যে সব শিক্ষক ক্লাশ ফাকি দেন, বা ক্লাশে পাঠদান না করে প্রাইভেট বা টিউশনী নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাদের সর্তক হতে হবে, ক্লাশে পড়া ক্লাশে যেন শিক্ষার্থীরা শেষ করতে পারে সে জন্য শিক্ষকদের আন্তরিক হতে হবে। সরকার এখন প্রাইভেট কোচিং বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় অভিভাবকরা কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাশে নিয়মিত পাঠদান না করে প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ এবং প্রাইভেট না পড়লে নম্বর কম দেয়ার অভিযোগ করেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবসস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।