রাঙামাটিতে জলবায়ু পরিকল্পনা প্রনয়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৫:২১:২৪ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৮:০৯:১৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ের জীববৈচিত্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় আমাদেরকে সকলকে একযোগে কাজ করতে যেতে হবে। তিনি বলেন, পাহাড়ে আবারো নতুন নতুন সবুজ বনায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে রিজার্ভ ফরেষ্ট সৃষ্টির দিকে আমাদের সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি ব্র্যাক ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কর্ম পরিকল্পনা গ্রামীন পর্যায়ে বাস্তবায়নে অংশগ্রহণকারী জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানান।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে জনগোষ্ঠীর জলবায়ু বিপদাপন্নতা নিরূপন এবং স্থানীয় আপদ সহনশীল পরিকল্পনা প্রনয়ন বিষয়ক সেমিনারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ আহবান জানান।

ইউএনডিপির ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ছাদেক আহমদ,  ব্র্যাক এর জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের প্রোগ্রাম হেড আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান, ইউএনডিপির কর্মকর্তা বিপ্লব চাকমা, ব্যাক এর রাঙামাটির জেলা সমন্বয়ক সমীর কুমার কুন্ডু’সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বেশী হুমকীতে আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। বিগত ২০১৭ সালে প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে ১২০জন তাজা প্রাণ হারাতে হয়েছে আমাদেরকে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পুরো রাঙামাটি জেলা। অসংখ্য পাহাড় ধ্বসের কারণে পার্বত্য রাঙামাটির ভৌগলিক পরিবর্তন হয়েছে। তিনি এই ঝুঁকি মোকাবেলায়  আরো কী কী করনীয় আছে তা খুঁজে বের করে পার্বত্য জনগনকে সম্পৃক্ত করার আহবান জানান।

সেমিনারে পার্বত্য তিন জেলার জনপ্রতিনিধি স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ইএনডিপি ডেনমার্ক সরকারের সহায়তায় সিএইচটি ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্স প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এবং তিন পার্বত্য জেলা (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান) বাস্তবায়ন শুরু করেছে। ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে এই প্রকল্পটি তিন পার্বত্য জেলার ১০টি উপজেলায় ১০,০০০ পাহাড়ী জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে যারা জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাবের কারণে বেশী বিপদাপন্ন। উপজেলা গুলো হচ্ছে রাঙামাটির জেলার রাঙামাটি সদর, জুরাছড়ি, বরকল ও বিলাইছড়ি। খাগড়াছড়ির খাগড়াছড়ি সদর, মহালছড়ি, গুইমারা এবং বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর, রুমা ও লামা উপজেলা।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions