কেপিএমে টানা ৩ দিন ধরে কাগজ উৎপাদন বন্ধ

প্রকাশঃ ০৭ অগাস্ট, ২০১৯ ১২:৪৩:১৪ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৭:৩২:০৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। কর্ণফুলী পেপার মিলে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় টানা তিন দিন কারখানায় কাগজ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কবে পুনরায় গ্যাস সংযোগ পুনঃস্থাপন হবে সে ব্যাপারেও সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেননি কারখানা কর্তৃপক্ষ।

গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা মিটারিং স্টেশনের পার্টস বিকল হওয়ায় কেপিএমে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কথা নিশ্চিত করেছেনকেপিএমের প্রধান প্রকৌশলী স্বপন কুমার সরকার।

তবে শুধুমাত্র মিটারিং স্টেশনের পার্টস বিকল হওয়ায় কেপিএমে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে না অন্য কোন কারণে গ্যাস সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সে ব্যাপারেও সঠিক কোন তথ্য জানা যায়নি।

সুত্র মতে কেপিএম একটি সরকারী কাগজ উৎপাদন কারী সংস্থা। কেপিএম থেকে কাগজ সংগ্রহের জন্য অনেক আগেই ডিমান্ড দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ শিক্ষা ক্রম ও শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় সংসদ, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডসহ আরো বেশি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা।

এসব সরকারী সংস্থার ডিমান্ড অনুযায়ী কেপিএম কর্তৃপক্ষ কাগজ উৎপাদন করে যাচ্ছিল। কিন্তু গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আর উৎপাদন বন্ধ থাকায় সরকারী গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা সমুহে নির্ধারিত সময়ে কেপিএমের পক্ষে কাগজ সরবরাহ করা কোন ভাবেই সম্ভব হবেনা বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।

কেপিএমের মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মোঃ গোলাম সরওয়ার জানান, ৭০ বছরের পুরাতন কারখানায় এমনিতেই অনেক সমস্যা বিরাজমান। কিন্তু সকল সঙ্কট কাটিয়ে দৈনিক প্রায় ২৫ মেঃ টন কাগজ উৎপন্ন করা হচ্ছিল। এভাবে কাগজ উৎপাদন অব্যাহত থাকলে প্রতিটি সংস্থাকে যথাসময়ে চাহিদানুযায়ী কাগজ উৎপাদন সরবরাহ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় কাগজ সঙ্কটে পড়বে সরকারী এসব সংস্থা সমুহ।

দেশের একমাত্র কাগজ উৎপাদনকারী বেসরকারী সংস্থা কর্ণফুলী পেপার মিলকে উৎপাদন সঙ্কটে ফেলতে মিটারিং স্টেশনের পার্টস বিকল হওয়ার অযুহাত তুলে ইচ্ছাকৃতভাবে গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা কেপিএমে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কিনা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন অনেকে।

কর্ণফুলী পেপার মিলের বিদ্যমান এসব সমস্যা নিরসনে প্রাক্তণ প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার এমপির  হস্তক্ষেপ কামনা করছেন কেপিএমের সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তাবৃন্দ। অতীতেও কেপিএম এরকম অনেক সঙ্কটে পড়েছিল। তখন স্থানীয় সাংসদ দীপঙ্কর তালুকদারের হস্তক্ষেপে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পেরেছিল কেপিএম। তাঁর সহযোগিতায় বর্তমান চলমান সঙ্কট কেপিএম কাটিয়ে উঠতে পারবে বলেও সবাই আশা প্রকাশ করছেন।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions