ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে আলোচনা না করে তারিখ ঘোষণার অভিযোগ এক পক্ষের

প্রকাশঃ ১৬ জুলাই, ২০১৯ ০৮:২৭:৩৫ | আপডেটঃ ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০৪:৩৯:০০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি ছাত্রলীগের মেয়াদত্তৌর্ণ কমিটি গঠন এবং সম্মেলন নিয়ে ছাত্রলীগে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন ও সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে গত ৬জুলাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের  বিভিন্ন কমিটির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন। এদিকে আজ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও উপ দপ্তর সম্পাদক কমিটি গঠনকে সংগঠন বিরোধী বলে দাবি করেছেন।

জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক নুর আলম উপ দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম (স্বাধীন) প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়,, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার পক্ষ থেকে উপজেলাসহ সকল ইউনিটের ছাত্রলীগের সম্মেলন সংক্রান্ত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত কপি দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে দপ্তর ও উপ-দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। সম্মেলনের তারিখ প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন ইউনিট থেকে আমাকে ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে আমি কোন তথ্য দিতে পারছি না।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দপ্তর সম্পাদকের কাজ হিসেব উল্লেখ রয়েছে সভার কার্য বিবরণী লিপিবদ্ধ করবেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রক্ষা করবেন এবং দপ্তর সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাদি পরিচালনা করবেন। সংগঠনের ই-মেইল একাউন্ট এবং ওয়েবসাইট পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, এধরেন কোন কাজের বিষয়ে আমি অবগত না। সম্মেলন সংক্রান্ত বিষয়ে আমি জেলা ছাত্রলীগের বাকি এক তৃতীংশের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা কেউ এই বিষয়ে জানেন না।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেরাই সকল কাজ সম্পাদন করে যাচ্ছেন। রাঙমাটি জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে আমার দায়িত্ব কি তাহলে? জেলা ছাত্রলীগের এ যাবৎ কালের সকল সিদ্ধান্ত তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত ছিল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হলে অবশ্যই সভা ডেকে সকলের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে সভার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু সম্মেলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সভা না করেই অনেকটা এককভাবেই বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন। যা অনেকটা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। এই ধরনের স্বেচ্ছাচারিতার উদ্যেশটি আমাদের বোধগম্য নয়।

বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠনটি আরো শন্তিশালী হউক, সেই লক্ষে সম্মেলন জরুরী কিন্তু জেলা ছাত্রলীগের এক তৃতীংশ সদস্যই সম্মেলনের বিষয়ে না জানার কারনে বিভ্রান্ত তৈরি হয়েছে। তাই সকলে এই বিষয়ে সচেতন থাকার অনুরোধ হইলো এবং  এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে তার দায় দায়িত্ব জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের।

তবে সম্মেলনের তারিখ প্রকাশের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন বলেন, জরুরী সিদ্ধান্তগুলো কেন্দ্রের সাথে আলোচনা করেই করা হয়, তেমনি রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সাথে আলোচনা করেই করা হয়েছে। ছাত্রলীগ ব্যাক্তি ইচ্ছায় চলে না, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে চলে। আর যারা প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে তারা এটি করতে পারে না।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions