গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত, পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সাজেক সহ পর্যটন কেন্দ্রে সর্তকতা জারি

প্রকাশঃ ১২ জুলাই, ২০১৯ ০৬:০১:০৭ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০১:৪৮:৩৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বৈরি আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকাল থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি থাকলেও দুপুরের পর আবারও ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পানছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি সরে যাওয়ায় বসতবাড়িতে ফিরে গেছে লোকজন।

দীঘিনালার মেরু এলাকার নিম্নাঞ্চলের কিছু জায়গায় এখনও জলাবদ্ধতার ফলে সড়ক তলিয়ে গিয়ে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কায় রাঙ্গামাটির সাজেক সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আজ ও আগামীকাল শনিবার ভ্রমণে সর্তকতা জারি করে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করছে স্থানীয় প্রশাসন।

গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ি সদরের মধুপুর বাজার, জিরোমাইল, পানছড়িসহ বেশ কয়েকটি স্থানে গ্রামীণ সড়ক, কালভার্ট ও কৃষি জমির চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলায় কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দূর্গম এলাকায় যানবাহন চলাচল সীমিত করার লক্ষ্যে দুইদিনের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদরের পানিবন্দী লোকজন ঘরে ফিরতে পারলেও দীঘিনালার শতাধিক পরিবার এখনও পানিবন্দী। তাদের উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। দূর্যোগ মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করা হচ্ছে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions