প্রকাশঃ ১০ জুলাই, ২০১৯ ০১:৪৫:২৯
| আপডেটঃ ১২ এপ্রিল, ২০২৪ ০৭:৩৭:৫১
সিএইচটি টুডে ডট কম, কাপ্তাই (রাঙামাটি)। গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে পাহাড় ধস, বৈদ্যুতের খুঁটি বিধস্ত, সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় ও চন্দ্রঘোনা আশ্রয় কেন্দ্রে দলে দলে মানুষজন পাহাড়ের ঢালু হতে নিরাপদে সরে আসতে দেখা গিয়েছে। জীবনের ঝুঁকি এড়াতে নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে না আসলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারীও দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। অতি ঝুঁকিপূর্ণ অনেক বসবাসকারীদের বাড়িতে তালা ঝুলিয়েও আনা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। কেন্দ্রগুলোতে গ্রহণ করা হয়েছে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা। পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত তিন বছর আগে পাহাড় ধসের ফলে বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৮জনের প্রাণহানী সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত ও কঠোর হস্তক্ষেপের ফলে এবার কমেছে হতাহত ও মৃত্যুর মিছিলের সংখ্যা। শুধু মঙ্গলবার একদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কেপিএমের কলা বাগানের মালী কলোনীতে পাহাড় ধসে শিশু সহ দু’জনের মৃত্যু হয়। এবং রাইখালী, লক গেইটসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে প্রায় ৪০’টির মত ঘর ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তবে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর মধ্যে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ২৮৭ জন এবং চন্দ্রঘোনা ইউপি এলাকায় ৯০ জন পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাই প্রশাসনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। সবটা ঠিক থাকলে এবং বাকী ঝুঁকিপূর্ণ বাসবাসকারীদের নিরাপদে আনতে পারলে কমে যাবে ঝুঁকি এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, এলাকায় মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য সবাইকে আহবান করা হয়েছে। পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে আসার জন্য বহু ঘরে নিজ হাতে তালা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। ঝুঁকি এড়াতে নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে না আসলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুসিয়ারীও দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।