রাঙামাটিতে দু’সশস্ত্র গ্রুপে সংঘর্ষে নিখোঁজ ১

প্রকাশঃ ২৭ জুন, ২০১৯ ০৪:৩১:২৫ | আপডেটঃ ১২ মে, ২০২৪ ০৯:৩৪:৩৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির বরকলে দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বরকল উপজেলার সুবলং বাজারের কাচালংমুখ এলাকায় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মূল দল এবং সংস্কারবাদী জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপ সমর্থিত সশস্ত্র সদস্যদের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পানিতে পড়ে একজন নিখোঁজ হয়েছে। তার নাম কোকো চাকমা (২৬)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা যায়, ওই সময় রাঙামাটি সদর থেকে ছেড়ে একটি কংক্রিট ও একটি ইট বোঝাই ইঞ্জিনবোট সুবলং বাজার অতিক্রম করে লংগদু উপজেলা সদরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে চাঁদার জন্য সুবলং বাজারের মাজারঘাটে বোট দুটিকে ভিড়তে নির্দেশ করে জেএসএস সংস্কারবাদীরা। কিন্তু সেখানে না ভিড়ে দ্রুত অতিক্রম করে চলে যায় বোট দুটি। এতে ঘাটে রাখা নিজেদের স্পীডবোট নিয়ে ওই দুটি মালবাহী বোটকে ধাওয়া করে সংস্কারবাদী কর্মীরা। এক পর্যায়ে বোট দুটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। এ সময় প্রাণরক্ষার জন্য বোট থেকে লাফিয়ে পানিতে ঝাঁপ দেন, রমজান আলী (৩২) নামে এক বোটের চালক। পরে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেছেন।

অন্যদিকে তার কাছাকাছি আমবাগান নামক এলাকায় ওৎপেতে থাকা জেএসএস মূল দলের কর্মীরা সংস্কারবাদীদের ওপর লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে সংস্কারবাদীরা পাল্টা জবাব দেয়ায় ওই দুই গ্রুপের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে অন্তত অর্ধ শতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়েছে বলে জানা যায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন, জেএসএস সংস্কারবাদী গ্রুপের স্পীডবোট চালক কাকো চাকমা। তার মৃত্য ঘটেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

ঘটার সত্যতা নিশ্চিত করে বরকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফজল আহম্মদ খান বলেন, চাঁদা আদায়ে দুটি মালবাহী ইঞ্জিনবোটকে আটকানোর চেষ্টাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দু’গ্রুপে সংঘর্ষে নিখোঁজ ব্যক্তিকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি।    

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছুফি উল্ল্যাহ জানান, ওই ঘটনায় নিহতের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রাণরক্ষার জন্য বোট থেকে লাফিয়ে পানিতে ঝাপ দেয়া বোট চালক রমজান আলীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions