প্রকাশঃ ২৬ জুন, ২০১৯ ১০:৫২:৪০
| আপডেটঃ ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:০৮:৫৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০১৯’এর ‘গ’ বিভাগের চিত্রাঙ্কনে প্রথম হয়েছে, রাঙামাটির দিব্য চাকমা। সে রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যায়নরত দশম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা রবীয়া চাকমা সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের ঢেবাছড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার পদে কর্মরত। আর মা যশী চাকমা সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের সারাধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা।
প্রতি বছরের মতো এবারও শিশুদের অধিকার সুরক্ষা এবং শারীরিক-মানসিক ও সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে ‘উন্নয়নে বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় শিশু পুরস্কারের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দেশব্যাপী আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় ‘গ’ বিভাগে চিত্রাঙ্কনে প্রথম স্থান লাভ করেছে দিব্য চাকমা। এরই মধ্যে ১২ জুন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণ করে সে। প্রতিযোগিতা ১৯ জানুয়ারি উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু হয়ে জাতীয় পর্যায়ে শেষ হয় ৩০ জানুয়ারি। দিব্য এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রায় অর্ধ শতাধিক পুরস্কার পেয়েছে বলে জানান, তার শিক্ষকরা।
অনুভূতি জানতে চাইলে দিব্য চাকমা জানায়, জাতীয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। এতে প্রথম হব, তা মোটেও ভাবতে পারিনি। এ অর্জনের পেছনে আমার বাবা, মা’এর উৎসাহ এবং শিক্ষক রাখি ত্রিপুরা ম্যাডামের আন্তরিকতা-ই মূল।
দিব্যর আবৃতি ও সঙ্গীত শিক্ষক বিজ্ঞান্তর চাকমা জানান, দিব্য সেরা। সে আসলেই মেধাবি ছাত্র। সে শুধু চিত্রাঙ্কনে পারদর্শী নয়- লেখাপড়া, সঙ্গীত ও আবৃতিতেও তার অবস্থান তুলনাহীন। সে এরই মধ্যে প্রায় অর্ধ শতাধিক পুরস্কার পেয়েছে। আমি তার ভবিষ্যৎ সর্বাঙ্গীন উন্নতি ও সাফল্য কামনা করছি।
দিব্য চাকমার বাবা-মা জানান, দিব্য চাকমা শুধু আমাদের নয়- সে সবার সন্তান। তার এমন অর্জন সবার আশির্বাদেই। আমরা তার জন্য সবার আশির্বাদ ও সহানুভূতি কামনা করি।