বান্দরবানে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উদযাপন

প্রকাশঃ ২৫ এপ্রিল, ২০১৮ ১০:১৮:৪৭ | আপডেটঃ ২৫ মার্চ, ২০২৪ ১০:২৩:২২
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। “ ম্যালেরিয়া নির্মূলে প্রস্তুুত আমরা ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বান্দরবানে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পালিত হয়েছে ।
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রাঙ্গন হতে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ,এনজিও কর্মী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি বান্দরবানের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভা। ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা:আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো:ইয়াছির আরাফাত,পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক ডা:অংচালু,ডা:বেলায়েত হোসেন,ডা:চিংশেয়োয়ে প্রু বাচিং,সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মর্কতা সাসুইচিং মারমাসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও বিভিন্ন ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকর্মীরা।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ১৩ টি জেলার ৭১টি উপজেলায় এখন ও ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এখন ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার সর্বাধিক। বিশ্ব স্ব^াস্থ্য সংস্থার ম্যালেরিয়া রিপোট ২০১৭ সালের রিপোর্ট অনুসারে,
বর্তমানে বিশ্বে ৯১টি দেশের প্রায় ৩২০ কোটি মানুষ ম্যালেরিয়ার ঝুঁঁকিতে রয়েছে। ২০১৬ সালে প্রায় ২১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং ৪,৪৫,০০০ জন মারা যায়। প্রতি বছর বিশ্বের ৯০% ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ও ৯১% ম্যালেরিয়াজনিত মৃত্যু আফ্রিকায় সংগঠিত হয়ে থাকে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া: ৯ টি দেশ ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ভারত ও ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে বেশিরভাগ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঘটনা রিপোর্ট করেছে।মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে ম্যালেরিয়ামুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বান্দরবানে ম্যালেরিয়া কার্যক্রমে জড়িত বেসরকারি সংস্থাসমূহের অন্যতম হল ব্র্যাক, এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১৭ সালে ম্যালেরিয়া সনাক্তকরণ পরীক্ষার সংখ্যা:  ১,৪৭,২১০ টি। ২০১৭ সালে ম্যালেরিয়া চিকিৎসা গ্রহনের রোগীর সংখ্যা: ১৭৪৯২জন। সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাকৃত রোগীর সংখ্যা:২৮১৪ জন।বেসরকারি সংস্থায় চিকিৎসাকৃত রোগীর সংখ্যা: ১৪৬৭৮জন (ল্যাবরেটরি:২১টি  স্বাস্থ্যকর্মী:৩৫১জন।২০১৭ সালে ওরিয়েন্টেশনের সংখ্যা: গ্রাম ডাক্তার:৬টি, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ:২৫টি। জেলা,উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামের (হটস্পট) সংখ্যা:২৯৮টি। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলোর মোট বাড়ীর সংখ্যা:৯৪৯৩টি। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলোতে বর্তমানে কার্যকর কীটনাশকযুক্ত মশারির বিতরণের সংখ্যা:৪১৫৫৪টি।
 
এসময় বক্তারা ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া রোগ নির্মূলের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি সকলকে সচেতন হতে এবং ঘুমানোর সময় অবশ্যই কীটনাশকযুক্ত মশারি ব্যবহার করার অনুরোধ জানান।
 
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions