কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনায় অগ্নিকান্ডে ১৮টি দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০ লাখ টাকা

প্রকাশঃ ০৭ জানুয়ারী, ২০১৯ ১১:৩০:৪০ | আপডেটঃ ১০ এপ্রিল, ২০২৪ ০৫:৩১:১০
সিএইচটি টুডে ডট কম, কাপ্তাই (রাঙামাটি)। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনার বার ঘোনিয়া মার্কেটে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮টি দোকান, এতে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। 

জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ২টার সময় সবাই যখন গভীর  ঘুমে আছন্ন তখন মার্কেটের একটি দোকান থেকে  বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পার্শ্ববর্তী রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস এবং কেপিএমের ফায়ার ব্রিগেডের ৩টি ইউনিট একযোগে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কাপ্তাই থানা পুলিশের সদস্য, কেপিএমের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় জনগনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে রাত ৩ টার পর।

ভুক্তভোগী অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিদিনের ন্যায় আমরা দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তাই মধ্য রাতে আগুন লাগায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী তাদের প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকায় দোকানের কোন মালামাল, আসবাবপত্র বের করতে পারেনি। তাদের দাবি, বাজারের মুদির দোকান, কাপড়ের দোকান, লন্ড্রী এবং গোডাউন সহ ১৮টি দোকানঘর পুড়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ২০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস এর স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান আনসারী জানান, তারা অগ্নিকান্ডের খবর পাবার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে রওনা হন। কেপিএম এবং রাংগুনিয়া ফায়ার সার্ভিস ও জনগনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রন আনেন এবং অনেক দোকান বাঁচাতে সক্ষম হন।

এদিকে আগুন লাগার সাথে সাথে কেপিএমের ব্যবস্হাপনা পরিচালক ড. এম.এম.এ কাদের, জিএম (প্রশাসন) একরাম উল্লাহ খন্দকার, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, কেপিএমের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু সহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক সহায়তা প্রদান করেন।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions