এবার কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করতে পারবে না, জনগণ পাহাড়া দিবে : দীপংকর তালুকদার

প্রকাশঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৩:৩১:০৭ | আপডেটঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:০১:৪৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের মুখে ভোট ডাকাতি করে জয় ছিনিয়ে নিয়ে তাদের প্রার্থী ঊষাতন তালুকদারকে জয়ী করে জনসংহতি সমিতি। তাতে করে ৫৩ কেন্দ্রে ৯৩-৯৯ শতাংশ ভোট আদায় করেছে তারা- যা একেবারে অস্বাভাবিক দৃষ্টান্ত। রাঙামাটির মতো এলাকায় যেখানে ৬০ শতাংশের ওপর ভোট পড়া একেবারে কঠিন, সে জায়গায় প্রায় শতভাগ ভোট পড়া তা কী কখনও সুষ্ঠু ভোট হতে পারে ? জেএসএস এবারও অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে ভোট আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণ আর তা হতে দেবে না। এবার সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিটি কেন্দ্র জনগণ পাহারা বসানো হবে। কাজেই অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আর কেউ ভোট ডাকাতি করতে পারবে না। সুষ্ঠু ভোট হলে এখানে আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত। কারণ পার্বত্য শান্তিচুক্তিসহ সম্প্রীতি ও উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচিত হলে এবং দল যদি আবার ক্ষমতায় যায় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন দীপংকর।

আজ বিকালে দীপংকর তালুকদার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে রাঙামাটির সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, চিংকিউ রোয়াজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বরসহ অন্যন্যা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে জনগণ স্বতস্ফুতভাবে অংশগ্রহণ করে, তারা উন্নয়ন চায় সম্প্রীতি চায়, শান্তি চায়। বর্তমান গত ৫বছরে কোথাও একটি ইটও ফেলতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন, জেএসএস  চুক্তি পক্ষের সাথে হাত না মিলিয়ে চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ এবং জেএসএসের সাথে হাত মিলিয়েছে। তারা আদৌ চুক্তি বাস্তবায়ন চায় কিনা আমরা সন্দিহান।

শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের স্বার্থে জনগন নৌকাকে বিজয়ী করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions