প্রকাশঃ ১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ০৮:৩৫:২১
| আপডেটঃ ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:২৭:২৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে "সুবলং চ্যানেল সুইমিং" এর সাঁতার প্রতিযোগীতা। শনিবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় সুবলং বাজার থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে শহরের শহিদ মিনার ঘাটে এসে শেষ হয়। এই ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরতত্বে এই সাঁতার প্রতিযোগীতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩০ জন সাঁতারু অংশ নেন। পরে বিকেলে রাঙামাটি শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে সাঁতারে অংশ নেওয়া সকল প্রতিযোগী ও বিজয়ীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক ও সনদ বিতরন করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হেসেন,সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।
সুবলং চ্যানেল সুইমিং প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বরগুনা জেলার সাইফুল ইসলাম রাসেল, দ্বিতীয় সাতক্ষীরা জেলার তৌফিকুজ্জামান ও তৃতীয় বরগুনা জেলার এস এম ফেরদৌস।
সাঁতারু রাজেশ চাকমা বলেন, রাঙামাটিতে এই ধরনের খোলা লেক থাকায় সাঁতার জন্য খুবই সুবিধাজনক। ঢাকা শহরে যে নদী, পুকুর রয়েছে সেগুলোতে সাঁতার কাটা যায় না বা সাঁতারের জন্য উপযোগী নয়। ছোটবেলায় এই কাপ্তাই লেকে অনেক সাঁতার কেটেছি। পানির প্রতি যে আমাদের একটা ভয় কাজ করে এটা যদি কাটিয়ে উঠতে হলে অবশ্যই সাঁতারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এখানে ক্রীড়ার সাথে যারা সম্পৃক্ততা রয়েছে তারা যদি এই ধরনের ইভেন্ট আয়োজন করে তাহলে এই এলাকায় মানুষের পানির প্রতি যে ভয় সেটা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং আরোও অনেক সাঁতারু গড়ে উঠবে।
সাইফুল ইসলাম রাসেল বলেন, আমি বাংলা চ্যানেল সাত বার পাড়ি দিয়েছি। সেই সাথে থাইল্যান্ডেও বিভিন্ন সাঁতার ইভেন্টেও অংশ নিয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমার এই কাপ্তাই লেকে সাঁতার করা। এই এলাকার স্থানীয় মানুষেরা সাঁতার কাটতে ও গোসল করতে খুব ভয় পায়, সেই ভয়কে কাটাতে জেলা প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে এটা খুব ভালো উদ্যোগ। যদি আমরা সাঁতারের মাধ্যমে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারি কিংবা দেশী এবং দেশের বাইরে মানুষ এখানে আছে তাহলে আমাদের পর্যটন শিল্প যেমন প্রভাব ফেলবে, তেমনি এই এলাকার স্থানীয় মানুষের পানি প্রতি যে ভয় সেটাও কমে যাবে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, আমাদের কাপ্তাই লেকে সুবলং চ্যানেলের নীল জলরাশি সবাইকে আর্কষণ করে। কাপ্তাই লেকে এত সুন্দর চ্যানেল আছে, আমাদের অথচ এই ধরনের সাঁতার প্রতিযোগিতার আগে হয়নি। এবারে প্রথম আমরা সাঁতারুদের উৎসাহ করার জন্য সারা দেশে যত সাঁতারু রয়েছে তাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছি। আমাদের এই প্রতিযোগিতায় ৩০ জন সাঁতারু অত্যন্ত সফলতার সাথে তাদের প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ করেছে। ভবিষ্যৎও আমাদের এই ধরনের প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকবে।