রাঙামাটিতে জেলা পর্যায়ে ‘শিল্পের শহর কর্মসূচি’র উদ্বোধন

প্রকাশঃ ০৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০৬:০০:২৩ | আপডেটঃ ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০৭:৪৪:০৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শহরের হারানো ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে, এরই একটি ‘শিল্পের শহর’ কর্মসূচি। কর্মসূচিটির ভাবনা ও পরিকল্পনায় রয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকা মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
বুধবার (৭নভেম্বর) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে শহীদ আব্দুল আলী মঞ্চে জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ‘শিল্পের শহর রাঙামাটি’ নামে অনুষ্ঠানটি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন করেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ  মো: তাছাদ্দিক হোসেন কবীর, জেলা রোভার স্কাউটস এর সম্পাদক নুরুল আবছার। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুল। এ সময় জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার অনুসিনথিয়া, জেরা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা রূপনা চাকমা’সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, এ জেলায় রয়েছে বিভিন্ন ভাষাভাষি নৃ-গোষ্ঠীদের বসবাস। রয়েছে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার ঐতিহ্য। তিনি বলেন, তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডগুলো চর্চা করতে সরকার শিল্পকলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি আরো বলেন, এ জেলা একটি পর্যটনখ্যাত জেলা। এখানে আগত পর্যটকদের বিনোদনের খোরাক হিসেবে শিল্পীরা যদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাহলে একদিকে যেমন তাদের সাংস্কৃতিক চর্চা হবে অন্যদিকে নিজেদের ঐতিহ্যকে উপস্থাপন ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, নৃ-গোষ্ঠীদের রয়েছে ঐতিহ্যবাহি হস্তশিল্পের পোশাক-বাঁশ বেতের জিনিসপত্র রয়েছে নিজস্ব ধরনের পিঠা পুলি। পর্যটকদের কাছে এসব বিক্রী করেও নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি আর্থিক উপার্জন করা সম্ভব। তিনি এ ধরনের উদ্দ্যেগ গ্রহনে শিল্পী কলাকৈশলীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

পরে অনুষ্ঠানে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। শেষে  জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions