শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব হয়েছে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশঃ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১২:১০:৫৩ | আপডেটঃ ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০৮:১৮:০৬
শাহ আলম, সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বন্দুক দিয়ে বন্দুকের সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। খুনের বিনিময়ে খুন করে নয়, সমস্যার সমাধান একটি সুষ্ঠ পরিবেশে আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করা যায়। বর্তমান সরকার তা প্রমাণ করেছে।

বিগত দুই যুগ ধরে পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা সমাধানের জন্য কোন সরকার এগিয়ে আসেনি। কিন্তু পাহাড়ের মানুষের সহযোগিতায় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে  মাত্র কয়েকটি বৈঠক করে আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করে এই পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। বর্তমানে পার্বত্য শান্তি চুক্তির সুফল পার্বত্যবাসী ভোগ করছে।

বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে ভাবতে হবে আমি দেশের জন্য বোঝা নয় উল্লেখ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা, খাদ্য, চিকিৎসাসহ সব মৌলিক ব্যবস্থায় গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ দেশকে এগিয়ে নিতে হবে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা আগে মিটাতে হবে এবং বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার গুরুত্ব সহকারে তার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এসময় তিনি তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সরকার তরুন প্রজন্মের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তোমরা তরুন প্রজন্ম মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাও। কারণ তোমাদের  তরুণ প্রজন্মকে ভাবতে হবে আমি দেশের জন্য বোঝা নয়, আমি দেশের সম্পদ, আমি দেশের সম্পদে রুপান্তরিত হবো, দেশের সেবা করবো, তোমাদের মধ্যে দেশ প্রেম থাকবে হবে। তবেই এই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।  

আজ দুপুরে রাঙামাটির আসামবস্তি মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস)’র অডিটোরিয়াম ভবন ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও এসএসসি পাশ কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙামাটির আসামবস্তি মারমা সংস্কৃতি সংস্থার আয়োজনে ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থার মাঠ প্রাঙ্গনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় তিনি আরো বলেন, যে যেসম্প্রদায়ের হোক না কেন? চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ইত্যাদি। বাংলাদেশকে ভালবাসতে হলে, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে,  প্রত্যেকের প্রথমে নিজের জাতি সত্ত্বাকে ভালবাসতে হবে। প্রত্যেক জাতি সত্ত্বাকে নিজেকে দেশের বোঝা নয়, নিজেকে সম্পদে রুপান্তরিত হতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এগিয়ে যাবে।

সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকার উল্লেখ করে বাহাদুর বলেন, এই সরকারের আমলে প্রত্যেক জাতি সত্ত্বা সমান অধিকার পাচ্ছে। বর্তমান পাহাড়ীরা নিজ নিজ ভাষায় পাঠপুস্তক পেয়েছে এবং নিজ ভাষার বই যাতে পড়তে পারে তার জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষক স্কুলে স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে একটি মসজিদ করা হলে একটি মন্দির করা হয়। একটি মন্দির করা হলে একটি গীর্জা নির্মাাণ করা হবয়। একটি গীর্জা করা হলে ক্যাংক করা হয়। সব ধর্মের সব সম্প্রদায়েকে বর্তমান সরকার সমান অধিকান দিয়ে যাচ্ছে। যা অতীতে কোন সরকার দেয়নি।

মারমা সংস্কৃতি সংস্থার সভাপতি অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় গেষ্ট অব অনার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার ও রাঙামাটি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু (এমপি), রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়াম্যান বৃষ কেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়াম্যানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তব্য রাখেন।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কুমার দাশ, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সবার ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আপনারাও তার জন্য কিছু করবেন। রাষ্ট্রের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, এদশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সারা দেশের ন্যায় পাহাড়েও ব্যাপক আকারে উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, আগামী একাদংশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের নৌকা মার্কায় ভোট বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারকে দেশের জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহব্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে, এসএসসি ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈশিং ও অথিতিবৃন্দরা সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান করেন।  

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions