রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নারী-শিশু ওয়ার্ড আবার চালু

প্রকাশঃ ২০ অগাস্ট, ২০১৮ ০৭:৫২:৫০ | আপডেটঃ ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০৪:২২:২৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। দীর্ঘ ১ বছর ৮ মাস বন্ধ রাখার পর রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের নারী ও শিশু ওয়ার্ডটি আবার চালু করা হয়েছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে নিয়ম নীতি না মেনেই তৃতীয় তলায় সম্প্রসারিত একটি নতুন পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে গিয়ে ভবনের নীচে ওয়ার্ডটির চারপাশের দেয়ালে ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল। এতে ঝুঁকিতে পড়ায় তালা দিয়ে ওয়ার্ডটি বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে একদল বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী নিয়ে পরীক্ষার-নিরীক্ষায় ওয়ার্ডটি ব্যবহার উপযোগী হিসেবে চিহ্নিত করেন প্রকৌশলীরা।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে  সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে হাসপাতালটির ৪৪ শয্যাবিশিষ্ট নারী ও শিশু ওয়ার্ডটি ফের চালু করা হল। উদ্বোধনকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দীসহ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিভিল সার্জন জানান, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা সরেজমিন দেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ওয়ার্ডটি ঝুঁকিমুক্ত বলে দিয়েছেন। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওয়ার্ডটি আবার চালু করা হয়েছে। ওয়ার্ডটি বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবায় সাময়িক ব্যাঘাত ঘটেছিল। চালু হওয়ায় তা আবার স্বাভাবিক হয়েছে।       
বৃষ কেতু চাকমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা সেবাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সব সময় আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এরই মধ্যে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করে নতুন ১০ তলা ভবন নির্মাণে প্রকল্প অনুমোাদন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার বলেন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ১০ তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্পে প্রাথমিক বরাদ্দ ২০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালটির ১০ তলা ভবন নির্মিত হবে। এ ভবনে থাকবে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, উন্নতমানের ল্যাব, উন্নত অ্যাক্স-রে মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি মেশিনসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার আধুনিক যন্ত্রপাতি- যা পরিপূর্ণ হবে একটি আধুনিক হাসপাতাল। ২৫০ শয্যা চালু হলে রাঙ্গামাটিতে উপযুক্ত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions