প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ব্যাংক থেকে বন্ধকী ঋণ গ্রহনে ছাড়পত্র দেয়ার ঘোষনা

প্রকাশঃ ১৭ অগাস্ট, ২০১৮ ০১:১৩:৫০ | আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:২৯:১৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। তিন পার্বত্য জেলায় দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ব্যাংক থেকে বন্ধকী ঋণ গ্রহনে  ছাড়পত্র দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন খাগড়াছড়ির নবাগত জেলা প্রশাসক মো: শহীদুল ইসলাম।  
তিনি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে জনভোগান্তির কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের দাবীর প্রেক্ষিতে এ ঘোষনা দেন। তিনি মিডিয়াকে তার শক্তিশালী হাত উল্লেখ করে বলেন, ত্রুটি বিচ্যুতি তুলে ধরুন,আমি সংশোধন করে নেব। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনার কখা উল্লেখ করে জনবান্ধব প্রশাসন হিসেবে কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জানান, সমতলে ব্যাংক থেকে বন্ধকী ঋণ গ্রহনে  সাব রেজিষ্টরা  ছাড়পত্র বা অনুমতি দিলেও তিন পার্বত্য জেলায় জেলা প্রশাসকরাই এ কাজটি করেন। কিন্ত বিদায়ী জেলা প্রশাসক এটি আইনত তার কাজ নয় দাবী করে ছাত্রপত্র বা অনুমতি দেয়া বন্ধ করে দেয়ায় দীর্ঘ এক বছরের বেশী সময় খাগড়াছড়ির ঋণ গ্রহিতারা ঋণ গ্রহনসহ মডগ্রেজ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। ফলে গৃহ ঋণ থেকে শুরু করে কৃষি,ব্যবসাসহ সব ধরনের ঋণ প্রবাহে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে সাংবাদিকরা তার দৃস্টি আকর্ষন করেন।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে জেলার নদী-ছড়া ভরাট বন্ধ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জেলার পর্যটন স্পটগুলোকে আধুনিকায়ন করার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি প্রশাসনকে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সকলের আস্থা অর্জন করার আহ্বান জানান।
এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ সাংবাদিকদের উত্তাপিত বিভিন্ন বিষয়ে নজর দেয়ার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এটিএম কাউছার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী চাহেল তস্তরী, দৈনিক অরণ্যবার্তার সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান , খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজম, সাধারণ সম্পাদক কানন আচার্যীসহ জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions