বৃহস্পতিবার | ২৮ মার্চ, ২০২৪

এক টন মিয়াজাকি আমের দাম দশ লাখ টাকা !

প্রকাশঃ ০৫ জুন, ২০২১ ০৪:১৭:৫৪ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৩:০৫:২৫  |  ১৮৮১
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। মিয়াজাকি বা সূর্য ডিম আম। যেটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ও পুষ্টিসমৃদ্ধ আমের প্রজাতি হিসেবে পরিচিত। জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলের এ আম প্রথমবারের মতো চাষ করে সফল হয়েছেন খাগড়াছড়ির চাষী হ্লাশিমং চৌধুরী। জেলার মহালছড়ি উপজেলার ধুমনিঘাট এলাকায় ৬০ শতক বাগানে মিয়াজাকি প্রজাতির ১২০ টি চারা লাগিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ফলন তুলেছেন সফল এ বাগানী।

সরেজমিনে ধুমনিঘাট এলাকার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ী ঢালুর গাছে ঝুলছে লাল লাল আম। পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু কিছু গাছে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাকিং পদ্ধতি। মুকুল আসা থেকে ফলন ছিঁড়া পর্যন্ত আমের যতœ নেয়ায় কোন কমতি থাকে না হ্লাশিমংয়ের। তাই অন্যান্য বাগানির চেয়ে তার ফলের চাহিদা ও গুণগত মান অনেক ভালো থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মিয়াজাকি আমের প্রথম চাষও হয় তার হাত ধরে।

জানা যায়, জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলে প্রথম চাষাবাদ হয় এ আমের। তাই অঞ্চলের নামানুসারে এর নাম হয় মিয়াজাকি ম্যাংগো। বাংলাদেশ ও ভারত বর্ষে এটিকে সূর্য ডিম বা লাল আমও বলা হয়ে থাকে। বিশে^র অন্যান্য আমের চেয়ে এ আমের বাজার মূল্য যেমন বেশী তেমনি পুষ্টিগুণও অনেক।

হ্লাশিমং চৌধুরী বলেন, ভারতের পুনে থেকে ২০১৭ সালে মিয়াজাকি আমের মাতৃ চারা সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর তার বাগানে কলম চারার মাধ্যমে ১ শ ২০ টি চারা করেন। ২০১৯ সাল থেকে বাণিজ্যিক ভাবে লাগানো মিয়াজাকি বাগানে ফলন আসতে থাকে। ২০২০ সালেও ভালো ফলন হয়। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ মৌসুমে ফলন কম হলেও দাম পেয়ে খুশি। প্রতি কেজি আম বিক্রি করছেন ১ হাজার টাকায়। এবার এক টনের মতো ফলন পাবেন এবং তা বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা তার।

মিয়াজাকি আমের চাষ সম্প্রসারণ সম্পর্কে হ্লাশিমং চৌধুরী আরও বলেন, এ আমের যে বাজার মূল্য ও চাহিদা তা দিন দিন বাড়বে। উচ্চমূল্যের এ ফলের চারা পার্বত্য চট্টগ্রামে ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা তার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাতৃ চারা কলমের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান।

খাগড়াছড়ি হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, মিয়াজাকি আমের চাষ খাগড়াছড়িতে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে হর্টিকালচার সেন্টারের নার্সারীতে মাতৃ চারা উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। যদি এটি করা যায় তাহলে এ অঞ্চলের ফলদ বাগানের সাথে সম্পৃক্তদের জীবন মান পাল্টে যাবে। কারন মিয়াজাকি আমের উচ্চ মূল্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বেশ কদর রয়েছে।


অর্থনীতি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions