শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

বান্দরবান কেন্দ্রীয় রাজগুরু মহা বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০৬:২৩:৫২ | আপডেটঃ ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০৭:৩৫:২৯  |  ৭১৫
 সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে উদযাপিত হচ্ছে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব। বান্দরবানে মারমা, চাকমা, বড়–য়াসহ বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা অশি^ণী পূর্ণিমার পর থেকে মাসব্যাপী এই কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করে থাকেন।

২৯ নভেম্বর (রবিবার) বান্দরবান কেন্দ্রীয় রাজগুরু মহাবৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন বিহারগুলোতে শেষ দিনের মত দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হচ্ছে।

সকালে বোমাং সার্কেলের রাজা উচপ্রুসহ দায়ক-দায়িকারা শোভাযাত্রার মাধ্যমে বান্দরবান শহর প্রদক্ষিন করে কেন্দ্রীয় রাজগুরু মহাবৌদ্ধ বিহারে এসে সমবেত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের বিভিন্ন বিহারের অধ্যক্ষ,বোমাং সার্কেলের রাজা উচপ্রু, রাজকুমার চহ্লাপ্রু জিমি, রাজকুমার মংওয়ে প্রু সহ বিভিন্ন বিহারের উপাসক-উপাসিকা ও দায়ক-দায়িকারা।

এরপর পঞ্চশীল গ্রহণের মাধ্যমে ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্যে চীবর দান করা হয়, দুপুরে ভিক্ষু সংঘকে ছোয়াই দান করা হয়।

বিকালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পুনরায় বিহারে সমবেত হয়ে মহা সংঘদান,অষ্টপরিস্কার দান, ধর্ম দেশনা শ্রবণ, হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করে চীবর দানোৎসবের ইতি টানেন।

আগামী ৩০ নভেম্বর ভিক্ষু সংঘের মহাপিন্ড দান ও বিকালে ধর্ম দেশনার মাধ্যমে বান্দরবানে মাসব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের এই কঠিন চীবরদানের সমাপ্তি ঘটবে।

প্রসঙ্গত ,মহাকারণিক গৌতম বুদ্ধের আমলে মহাপূর্ণ্যবতী নারী বিশাখা দেবী প্রথম কঠিন ব্রত নিয়ে এই চীবর দান করেছিলেন, সে থেকেই প্রতিবছর নিয়মানুসারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এই পূর্ণ্যানুষ্ঠান পালন করে আসছে।


বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions