মঙ্গলবার | ১৯ মার্চ, ২০২৪

একটি শান্তিপুর্ণ অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন

প্রকাশঃ ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০৭:১৩:৩১ | আপডেটঃ ১৮ মার্চ, ২০২৪ ০৬:৪৩:৫৮  |  ৯০৫
বিশেষ প্রতিনিধি, রাঙামাটি। রাঙামাটি শহর থেকে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়ার দুরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। ঘাগড়া থেকে কাপ্তাই সড়কে বগাপাড়ার দুরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার। সড়কটি ঘেঁষে বগাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। রোববার সারা দেশের ন্যায় বগাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন।

সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,বিদ্যালয় আঙিনা সাজানো হয়েছে রঙিন বেলুনে। বিদ্যালয় মাঠে বাঁশ দিয়ে ভোটার লাইন তৈরি করা হয়। ভোট প্রদানের জন্য সুশৃঙ্খল লাইনে দাঁড়িয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের মধ্য রিটানিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসার, সহ প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, পুলিশ। কেন্দ্রে ভোটর ছিল ৬০ টি। ৭টি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিল ১০ জন। তঞ্চঙ্গ্যা অধ্যুষিত এলাকায় মারমা চাকমা জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

এর মাঝে একজন ত্রিপুরা প্রার্থী ছিল বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির দীনা ত্রিপুরা। ৭ জন বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে দীনা ত্রিপুরার নামও ঘোষণা করে রিটানিং কর্মকর্তা মুন্নি তঞ্চঙ্গ্যা। ৭ বিজয়ী প্রার্থীর  মধ্যে সে পায় ৪র্থ সর্বোচ্চ ভোট।

প্রিজাইডিং অফিসার রুনা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, সবাই লাইনে দাড়িয়ে একে একে ভোট দিয়েছে। মোট ৬০ জন ভেটারের মধ্যে তিনজন ভোটর উপস্থিত ছিল না। বাকীরা সবাই ভোট দিয়েছে। ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রিটানিং কর্মকর্তা মুন্নি তঞ্চঙ্গ্যা।


সহ প্রিজাইডিং অফিসার অনিতা খীসা বলেন, সকাল ৯ টায় দুপুর ১ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। সুন্দর ভোটগ্রহণ পরিচালনার জন্য স্যারেরা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেভাবে আমরা দায়িত্ব পালন করেছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীর সেন চাকমা বলেন, এটি অনেকে এড়িয়ে চলে। আমি আগ্রহ নিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। শিক্ষার্থীরা যেন এটিকে একটি উৎসব মনে করে সেজন্য তাদের দিয়ে বিদ্যালয়টি সাজিয়েছি।
শিশুরা যেভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করল তাদের কাছ থেকে আমাদের শিখতে হবে। তারা স্বতঃস্ফুর্তভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে।



নির্বাচনে  ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি থেকে ২ জন করে ৪ জন এবং ৫ম শ্রেণি থেকে ৩ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত ৭ জনের মাঝে পরিবেশ, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, পানি সম্পদ, বৃক্ষ রোপন ও বাগান তৈরি এবং অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন দায়িত্ব বন্টন করা হবে।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions