শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
রাঙামাটিতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ২২তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

চুক্তি বাস্তবায়ন হলে কারো অধিকার ক্ষুন্ন হবে না : উষাতন তালুকদার

প্রকাশঃ ২৩ জানুয়ারী, ২০২০ ০৬:৩৯:২৩ | আপডেটঃ ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১১:২১:৪৮  |  ৩৯২২
ষ্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি। “প্রতিক্রিয়াশীল, সুবিধাবাদী ও চুক্তি বিরোধীদৈর প্রতিহত করুন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে ছাত্র যুব সমাজ বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটি পাহাড়ী ছঅত্র পরিষদের ২২তম প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করে কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইনষ্টিটিউটে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিন্টু চাকমার সভাপতিত্বে কাউন্সিলে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি উষাতন তালুকদার। এতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহ সাধারন সম্পাদক জগদীশ চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদিকা দেবশ্রী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য যুব সমিতির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা নান্টু, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি সুমন মারমাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে উষাতন তালুকদার বলেন, সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না করে চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়ন হলে কারো অধিকার ক্ষুন্ন হবে না, অহেতুকভাবে ভুল বুঝিয়ে চুক্তি বাস্তবায়নকে বাঁধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে চাঁদাবাজ ও অস্ত্রবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় প্রশাসন, তাতে আমাদের আপত্তি নেই, তবে সাধারন মানুষকে ভয় ভীতি না দেখিয়ে কাছে টেনে এসব অস্ত্রবাজি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায়।

উষাতন তালুকদার আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের যে সমস্যা সেটি চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শান্তিপুর্ণভাবে সমাধান করা যায়, এবং যারা এখানে বাংলাভাষাভাষি রয়েছেন তাদের বিষয় এবং সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে আমরা একটি সুষ্ঠ সমাধানে দিকে যেতে পারি। এটাকে অহেতুকভাবে ভুলভাবে মন গড়া ব্যাখা দিয়ে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখলে কারো জন্য মঙ্গলজনক হবে না।  যাতে করে চুক্তি বাস্তবায়ন করা যায় সে জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে,, এখানে অনেকে ভুল ব্যাখা দেন চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাভাষাভাষিদের চলে যেতে হবে এটা ঠিক না,, উনাদের  কোন অধিকার খর্ব হয়নি, ভালোই আছেন।

উষাতন তালুকদার আরো বলেন, শান্তি চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। ভুমি নিরোধ নিস্পত্তি কমিশন নিয়ে ভুল ব্যাখা দেয়া হয়, কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব বাঙালী, সার্কেল চীফ ব্যাতিত  আর অন্য যারা আছেন তারা পাহাড়ী হলেও সরকারের মনোনীত, তাদের সরকারের কথার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও ভুমি কমিশনের কার্যক্রমে বাঁধা দেয়া হয়, আগে ভুমি কমিশনকে কাজ করতে দিন যদি তারা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, শুধরানোর সুযোগ তো আছে, আবার সরকার ইচ্ছা করলে কমিশন বাতিলও করতে পারেন।

উষাতন তালুকদার ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে হবে না, মানুষের মত মানুষ হতে হবে লেখা পড়া করতে হবে। সুশিক্ষিত হতে হবে। 



উষাতন তালুকদার আগামীতে জাতির আত্ননিয়ন্ত্রন অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র ও যুব সমাজকে অগ্রণী ভুমিকা পালনের আহবান জানান।

কাউন্সিলে রাঙামাটির ১০ উপজেলা থেকে প্রায় ৩৫০জন নেতা কর্মী কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করেছেন।


এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions