শুক্রবার | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
জুরাছড়ি মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র শাহাদাৎ বার্ষিকীতে

“নিপীড়িত ও মেহনতি মানুষের অধিকার রক্ষায় সাহসী ভূমিকা রেখে ছিলেন. এম এন লারমা”

প্রকাশঃ ১০ নভেম্বর, ২০১৯ ০৮:৪১:০৮ | আপডেটঃ ১১ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:২০:৩৯  |  ১৬৫৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণ তথা নিপীড়িত ও মেহনতি মানুষের অধিকার রক্ষায় রক্ষণশীল, পরনির্ভরশীল ও সামন্ত নেতৃত্বের বিরোধিতা করে সাহসী ভূমিকা রেখে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)র প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা।

রোববার জুরাছড়ি উপজেলায় জনসংহতি সমিতির উদ্যোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)র প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় বক্তারা একথা বলেন।

সকালে এ উপলক্ষে আট শতাধিক পাহাড়ী নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে উপজেলা মিনি মাঠ থেকে প্রভাত ফেরি অনুষ্ঠিত হয়। প্রভাত ফেরি থানা সংলগ্ন সড়ক, যক্ষা বাজার প্রদক্ষিন করে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের ফটকে এসে শেষ হয়। মিনি মাঠে অস্থায়ী বেদীতে মানবেন্দ্র নারায়ন লারমাকে পুষ্পমাল্য অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে ‘‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন সহ জুম্ম জাতির অস্তিত্ব সুরক্ষায় এগিয়ে আসুন’’  প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে স্মরণ সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় উপজেলা জনসংহতি সমিতির ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক  ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা শাখার ভূমি ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রনজিৎ কুমার দেওয়ান, বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা উপস্থিত ছিলেন। শোক সভায় বক্তব্য রাখেন জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, কুসুমছড়ি মৌজার হেডম্যান মায়ানন্দ দেওয়ান, ইমন চাকমা প্রমূখ।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা তাঁর গতিশীল চিন্তা কেবল পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ ছিল না-বরং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মুক্তির সঙ্গে পার্বত্যবাসী জনগণের মুক্তি একই তারে বাঁধা ছিল।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions