মঙ্গলবার | ১৯ মার্চ, ২০২৪

নদী ভাঙ্গনে কবলে হারিয়ে যাচ্ছে লামার ইয়াংছা মাদ্রাসা

প্রকাশঃ ১৯ জুলাই, ২০১৯ ০৫:৪৪:১২ | আপডেটঃ ১৮ মার্চ, ২০২৪ ০৮:১৩:৫২  |  ৯০৫
সিএইচটি টুডে ডট কম,  বান্দরবান। বান্দরবানের  লামার ইয়াংছা খালের স্রোতের ধাক্কায় প্রবল ভাঙ্গনে হারিয়ে যেতে বসেছে দ্বীনি প্রতিষ্ঠান “ইয়াংছা মাদ্রাসা ফয়জুল উলুম হামিউচ্ছুন্নাহ হেফজখানা ও এতিমখানা”। ১৯ বছরের পুরাতন এই ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় সরকারের জরুরী পদক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসি।

মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখনি পদক্ষেপ না নিলে দু’পাশের ভাঙ্গনের কারণে অচিরে মাদ্রাসাটি হারিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে মাদ্রাসাটির দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের অধিকাংশ জায়গা নদী গর্ভে চলে গেছে। মসজিদের অজুখানা ও একাডেমি ভবন ভেঙ্গে পড়েছে। দ্রুত নদীতে গার্ডওয়াল দিয়ে খালের পানির গতি পরিবর্তন না করলে মাদ্রাসাটি রক্ষা করা যাবে না।

জানা যায়, ১লা জানুয়ারী ২০০০ইং সালে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইয়াংছা কাঁঠালছড়া এলাকায় এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে অত্র এলাকায় সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটি মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানা পরিচালনার মধ্য দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে আসছে। স্থানীয় ও সরকারের নানা বিভাগের সহায়তায় ভালই চলে আসছিল মাদ্রাসাটি। বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানে মাদ্রাসা শাখায় প্লে থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ২শত শিক্ষার্থী, ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষার্থী, এতিমখানায় ২২জন শিশু অধ্যায়নরত রয়েছে। মাদ্রাসাটিতে সকালে পরিচালিত মক্তবে ২ শতাধিক শিশু দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করে। ১২ জন শিক্ষক ও একটি সুন্দর পরিচালনা কমিটি দ্বারা মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে আসছে।

ইয়াংছা মাদ্রাসা ফয়জুল উলুম হামিউচ্ছুন্নাহ হেফজখানা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা আব্দুল মালেক বলেন, মাদ্রাসার ক্লাস অব্যাহতভাবে বৃদ্ধির কারণে আর্থিক অবস্থা ভালনা। এছাড়া শিক্ষার্থী বৃদ্ধির কারণে নতুন ভবনের কাজ চলছে। সকলের সাহায্য সহায়তা নিয়ে কোনমতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু হঠাৎ করে ইয়াংছা খালের পানির স্রোতে মাদ্রাসা ভবন ও স্থাপনা ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। নিজস্ব তহবিল না থাকায় ভাঙ্গনরোধে পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছেনা। আমরা পার্বত্য মন্ত্রী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, লামা উপজেলা প্রশাসনের জরুরী সহায়তা কামনা করছি।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আপ্রুচিং মার্মা বলেন, অত্র মাদ্রাসাটি ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭,৮,৯,৪ ও ১নং ওয়ার্ডের একমাত্র ধর্মীয় দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসাটি রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, ভাঙ্গনের স্থান পরিদর্শন করেছি। অতি স্বল্প সময়ে ব্যাপকভাবে ভেঙ্গে গেছে মাদ্রাসাটি। 

বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল।

বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions