মঙ্গলবার | ১৯ মার্চ, ২০২৪
রাঙামাটিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে

বর্ণাঢ্য র‌্যালি, পোনা অবমুক্তকরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১৮ জুলাই, ২০১৯ ০৩:০১:০১ | আপডেটঃ ১৫ মার্চ, ২০২৪ ০২:৪০:৪০  |  ৮১৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। “মৎস্য সেক্টরের সমৃদ্ধি, সুনীল অর্থনীতির অগ্রগতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, পোনা অবমুক্তকরণ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে ব্যানার ফেস্টুন যোগে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে র‌্যালির উদ্বোধন করেন।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে র‌্যালিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজবাড়ী নদী ঘাটে গিয়ে শেষ হয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন অতিথিরা। পরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯ এর উদ্বোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।

মৎস্য বিষয়ক আহ্বায়ক ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আলম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) নাসরিন ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বরুন কুমার দত্ত বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন।

আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, প্রজনন সময়ে কাপ্তাই হ্রদে মে-জুলাই তিনমাস মৎস্য শিকার বন্ধ থাকে। যাতে করে মাছের বংশবৃদ্ধি হয় এবং জেলেরা বড় বড় এবং বেশী করে মৎস্য আহরণ করতে পারে সে লক্ষ্যে বন্ধ থাকাকালীন জেলেদের সরকার খাদ্যশস্যও প্রদান করে থাকে। কিন্তু প্রায় উপজেলা ঘুরে দেখা যায় এই আইন না মেনে অনেক জেলে নদীতে জাল ফেলে মা মাছ ধ্বংস করছে, যা মোটেই কাম্য নয়। এতে করে জেলেদেরই বেশী ক্ষতি হচ্ছে। পরবর্তীতে নদী থেকে মাছ কম আহরণ হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে তারাই দারিদ্রের শিকার হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আগে এই নদীতে বড় বড় বোয়াল, চিতল’সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দেখা যেত কিন্তু সঠিকভাবে বংশ বিস্তার করতে না পারায় এখন তেমনটি আর দেখা যায়না। এর কারণ জেলেরাই। তাদের ডিম পারার স্থান গাছের গোড়াগুলো উপড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। তিনি এই তিনমাস মাছমারা বন্ধ থাকাকালীন মাছ শিকার না করার পরামর্শ দেন জেলেদের এবং মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উৎপাদনে আগ্রহীদের পরিষদ হতে প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions