শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

পাহাড়ী জনগোষ্ঠীকে আয়কর দিতে বাধ্য করার অভিযোগ

প্রকাশঃ ০৭ জুলাই, ২০১৯ ০৬:১২:৪৬ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০৯:২৪:৫৬  |  ২৭০৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে আয়কর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাঙামাটির সিনিয়র নাগরিকরা। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছেন তাঁরা। শনিবার বিকালে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এক বৈঠকে তাঁরা বলেন, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে আয়কর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে যা আয়কর আইন পরিপন্থী।

সবক্ষেত্রে তা বাধ্যতামুলক করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে পর্যন্ত পিতার টিন  নম্বর (টেক্সপেয়ার আইডেনটিফিকেশন নম্বর) চাওয়া হচ্ছে। দিতে না পারলে ছেলে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে না।

ব্যাংকে গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমা দিতে গিয়ে অনলাইনে টিন ঘরটি পুরণ না হওয়ায় সার্ভার আবেদনপত্র গ্রহণ করছে না। সার্ভারে টিনের ঘরে বিকল্প কোন পন্থা রাখা হয়নি। জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে। ফলে এক প্রকার আয়কর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। না হলে বিভিন্ন হয়রানী করা হচ্ছে।

জাতীয়  রাজস্ব বোর্ডের এক পরিপত্রে বলা আছে, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি জেলার যদি কোন আদিবাসী নিজেকে করযোগ্য  বলে সেচ্ছায় লিখিত ঘোষণা  দাখিল করবেন কেবলমাত্র তাদের ক্ষেত্রে টিন নম্বর প্রদান করা হবে। যারা করযোগ্য নয় বলে দাবী করবেন  তাদের ক্ষেত্রে টিন নম্বর প্রদান করা হবে না। কিন্তু এটি মানা হচ্ছে না। আদিবাসীদের কাছ গণহারে টিন নম্বর চাওয়া হচ্ছে।  দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

তাঁরা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে থেকে দায়িত্ব পালন করতে আসা অনেক সরকারী/বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন আইন নিয়ে অবগত নন। ফলে তাঁরা এসব আইনগুলোকে অগ্রাহ্য করে করেন। এতে আদিবাসী জনগণ হয়রানীর শিকার হন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে চাকুরী করা আদিবাসীদের অবস্থা আরো খারাপ বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।

বৈঠকে গৌতম দেওয়ান, এড.জ্ঞান্দেু বিকাশ চাকমা, সুকুমার দেওয়ান, এড. দীপেন দেওয়ান, এড. দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা, অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী, দীপক খীসা, কাজল কান্তি তালুকদার, এড.রাজীব চাকমা, তনয় দেওয়ানসহ জেলার সিনিয়র বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions