শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ও পাসপোর্ট অফিসে দুদক’র অভিযান

প্রকাশঃ ২৫ জুন, ২০১৯ ১০:০৬:৫২ | আপডেটঃ ২৩ মার্চ, ২০২৪ ০৭:৫৭:২৯  |  ২৫৪৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় দুদক রাঙামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানের শুরুতেই অভিযোগের সূত্র ধরে সেবাগ্রহীতাদের সাথে কথা বলে সরকারি ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের সত্যতা পায় দুদক। অভিযুক্ত কর্মচারী সুরুজ ত্রিপুরাকে মঙ্গলবারের মধ্যে খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে বদলি করে দিতে  খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ সহকারী পরিচালক শওকত কামাল নির্দেশ দেন দুদক কর্মকর্তারা।

পাসপোর্ট কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা অনেক গ্রাহকই অভিযোগ করে বলেন, পাসপোর্টের ফরম পূরণ ও ছবি তুলে দিতে প্রতিটি টেবিলেই টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে কোন কাজই করেন না পাসপোর্ট অফিসের লোকজন। কেউ প্রতিবাদ করলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিদিন।

খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক শওকত কামাল জানান, প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় কর্মচারীদের দিয়ে কাজ করতে হয়। এই সুযোগে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সুযোগ নিয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবলের জন্য লেখা হয়েছে। দুদক’র অভিযানে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা হচ্ছে।

দুদক রাঙামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের উপ পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন ও অভিযোগকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে দুদক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাসপোর্ট কার্যালয়ে অভিযান শেষে দুদক’র টিম খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলা শহরের সবুজবাগ এলাকায় আবুল কাশেম’র বাড়ী থেকে রফিকের বাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৯০ফুট দীর্ঘ আরসিসি রির্টানিং ওয়াল নির্মান করার জন্য ২০ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহন করে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী টেন্ডার না করে প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব দেন, সাংবাদিক পরিচয়দানকারী জনৈক আবুল কাশেম প্রকাশ কে সি সি কে। নানা অনিয়মের কারণে স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রকল্পের শুরু থেকে এ নিয়ে অভিযোগ করলেও কেসিসি কাশেম এটি তার ব্যক্তিগত কাজ এবং ব্যক্তিগত অর্থেই করছেন দাবী করে গ্রামবাসীদের শাসিয়ে দেন।

অভিযানকালে দুদক কর্মকতারা জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নকালে নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কাই করা হয়নি। আরসিসি ডালাই’র পরিবর্তে ইটের গাথুনী দেয়া হয়েছে এবং ৩০ ভাগ কাজ করেই পুরো অর্থই হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।  দুদক কর্মকর্তারা এ বিষয়ে জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী জীবন রোয়াজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।  কিসের ভিত্তিতে বিল ছেড়েছেন এবং কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না এ বিষয়ে জানতে চান।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions