সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। চাকরির জন্য বিদেশ গমনকারীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে করছে। বিশ্বের ১৬৮টি দেশে বাংলাদেশের জনশক্তি পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে ২০১৭ ও ১৮ সালেই জনশক্তি পাঠানো হয়েছে ১৭ লক্ষাধিক। অন্যদিকে প্রতিবছর ওই খাত থেকে ১৪ থেকে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে। জনশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব হলে বৈদেশিক রেমিটেন্স আয়ও বাড়ানো সম্ভব হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ আয়োজিত ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা’ শীর্ষক প্রচারণামূলক সেমিনারে মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মো: শাহীন এ তথ্য তুলে ধরেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার এমএম সালাহ উদ্দিন,খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, সিনিয়র সাংবাদিক তরুন কুমার ভট্টাচার্য্য, খাগড়াছড়ি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সোহেল হোসাইন,জেলা জনশক্তি কর্মসংস্থান কর্মকর্তা নিহার কান্তি খীসা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ, জেলা দুনীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার, টিআইবির সহ-সভাপতি মো: জহুরুল আলমসহ বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা নির্বাহীগণ বক্তব্য রাখেন।
পিছিয়ে পড়া জেলাগুলো থেকে কর্মীপ্রেরণ বৃদ্ধির জন্য এ সেমিনারের আয়োজন উল্লেখ করে সেমিনারের উদ্যোক্তার জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১ কোটি ২৮ লাখ মানুষের কর্মসৃজন এবং প্রতিটি উপজেলা থেকে ১ হাজার প্রশিক্ষিত কর্মীকে বিদেশ পাঠানোর টার্গেট অর্জনে কাজ চলছে। খাগড়াছড়ি জেলায় ৫ হাজার ৮৯ জন কর্মীর রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। গত বছর ৭৩২ জন এবং চলতি বছরের ১৩ জুন পর্যন্ত ৩৬৪জন কর্মী বিদেশ গেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলা থেকে কোরিয়া,চিন,হংকংসহ বিভিন্ন দেশে দক্ষ পাহাড়ী নারী গৃহ কর্মী,বৃদ্ধ ও শিশু পরিচর্যাকারী কর্মী প্রেরনের চাহিদা থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নৈতিবাচক প্রচারণা, ভাষাগত সমস্যা এবং আবাসিকভাবে প্রশিক্ষণের সুবিধা না থাকায় এ সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
সেমিনারে বিদেশে কর্মীদের নিরাপত্তা রক্ষায় মিশনের তৎপরতা বাড়ানো,নারী কর্মীদের প্রতিসপ্তাহে স্বজনদের সাথে মোবাইলে কথা বলার সুযোগ দেয়াসহ মাঠ পর্যায়ে বিদেশ গমনেচ্ছুদের প্রতারণা ও দুর্ভোগ লাঘবে নিরাপদ অভিবাসনের বিষয়ক বিভিন্ন সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি,নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।