শুক্রবার | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের

কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৩ তম বার্ষিকী উপলক্ষে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১১ জুন, ২০১৯ ০২:১৭:৫৪ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৭:৪০:২৪  |  ১১১৫
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় গোল টেবিল বৈঠক করেছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন। সংগঠনের সভাপতি নিরুপা চাকমার সভাপতিত্বে আজ ১১জুন (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা সঞ্চলনা ও লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা।

গোল টেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি হাসিবুর রহমান, ব্যারিষ্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, লেখক ও অনুবাদক ওমর তারেক চৌধুরী, ব্যারিষ্টার সাদিয়া আরমান, বাসদ-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মানস নন্দী, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গনের সদস্য বীথি ঘোষ, শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মিতু সরকার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু, সিপিবি নারী সেলের সদস্য লুনা নুর, শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালি প্রমূখ।

বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি হাসিবুর রহমান বলেন, ১৯৫২ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশের এই ভূখন্ডে গণআন্দোলনের ওপর যেসব আঘাত এসেছে তার কোনটার বিচার হয়নি। কোন ঘটনার তদন্তের শে^তপত্র প্রকাশ করা হয়নি। কল্পনা চাকমার অপহরণের মামলার দীর্ঘসূত্রিতার ব্যাপারটিও তার ধারাবাহিকতার অংশ।

এক সময় কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার সাথে যুক্ত ছিলেন জানিয়ে ব্যারিষ্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, কল্পনা চাকমা অপহরণের নিয়ে জুডিশিয়ালি ইনকোয়ারি থেকে শুরু করে গণ-প্রতিনিধিত্বের অংশগ্রহনে অনেক তদন্ত হয়েছে। কিন্তু তারা তদন্তের কোন ফয়সালা করতে পারেনি বা করেনি। কল্পনা চাকমার অপহরণের মামলা কোন পর্যায়ে আছে প্রশ্নে বলতে হয় এই মামলা আদৌতে কোন পর্যায়ে নেই। ২৩ বছরেও এই মামলার প্রক্রিয়া এখনো শুরু করা যায়নি। কারণ, এখনো তদন্তের বিশ^াসযোগ্য প্রতিবেদন তারা জমা দিতে পারেনি।

“বাংলাদেশে গত ৪৭ বছরের ইতিহাসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত কোন মামলার বিচার করা সম্ভব হয়নি, ৩বছরেও গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে হামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি তাই বিচার প্রক্রিয়াও শুরু করা যায়নি। ” তিনি আরও যোগ করেন।

শ্রমিক নেতা মাইকেল চাকমার গুমের সাথে রাষ্ট্র জড়িত উল্লেখ করে লেখক ওমর তারেক চৌধুরী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের সংকট রয়েছে।

গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকলে মাইকেল চাকমা গুম হতেন না। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের পথ হচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন। সব মত পথ ভূলে গিয়ে এই সময়ে সবার একমাত্র দাবী হওয়া উচিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।  

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions