বুধবার | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

রাঙামাটিতে পার্বত্য অধিকার ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১৬ মে, ২০১৯ ০১:৩৭:৪৩ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৪২:১৩  |  ৮৪৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য অধিকার ফোরাম রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যেগে আজ রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতিতে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নাজিম আল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আবছারের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বেগম নূর জাহান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মাঈন উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. আবছার আলী, পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি আহম্মেদ রেদওয়ান, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ডালিম, পার্বত্য নারী অধিকার ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি সালমা আহম্মেদ মৌ, সাধারণ সম্পাদক আফরোজা আক্তার নিশি, পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মোখতার আহম্মেদ পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লোকমান হাকিম, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম, রাঙামাটি সরকারী কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ মুমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাকী বিল্লাহ্, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নূর আলম প্রমুখ।

ইফতার মাহফিলের পুর্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে চারটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে খুন, গুম, অপহরণ বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিটি ঘটনায় এক দল অন্য দলকে দায়ী করার পাশাপাশি সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কলুষিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জেএসএস(সন্তু), জেএসএস(সংস্কার), ইউপিডিএফ(প্রসীত) এবং ইউপিডিএফ(গণতান্ত্রিক) নামক উগ্র এই ৪টা সংগঠন পুরো পাহাড়ি জেলাগুলোকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়ে চাঁদাবাজির হরিলুট চালাচ্ছে। তাদের এই অপকর্মের পথে প্রধান বাঁধা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত “সেনাবাহিনী”। আর সে কারণেই এইসব উগ্র সন্ত্রাসী সংগঠণগুলোর প্রধান দাবি “পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহার” করতে হবে যাতে করে তারা সমগ্র পাহাড়ি ৩ জেলাতে পুরো মাত্রায় অত্যাচার চালাতে পারে এবং পাহাড়ে নিজেদের “জুম্মল্যান্ডের পতাকা” ওড়াতে পারে।
তাই পাহাড়ে সকল জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, শান্তি ও সম্প্রীতি এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে পত্যাহার কৃত সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে।

আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তাগণ বলেন, পাহাড়ের জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ ১৪টি পদে এমপি, মন্ত্রী, রাজা মহারাজাসহ ইলেকশন সিলেকশনে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ১৪টি পদ ও চেয়ার উপজাতিদের দখলে।
পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে চেয়ারম্যান যেহেতু পাহাড়ী তাই ভাইস চেয়ারম্যান পদ বাঙালীদের জন্য সৃষ্টি করার দাবি জানান বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, খাগড়াছড়ি হতে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যে দেওয়ার পরও এখনও কিভাবে সাংবিধানিক পদে বহাল থাকে? বাসন্তী চাকমা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতিক সেনাবাহিনী'র বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার পরও কিভাবে বাসন্তী চাকমা আবার সরকারী বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও মন্ত্রীদের প্রোগ্রামে দাওয়াত পায়?
অবিলম্বে বাসন্তী চাকমাকে সরকারী সকল প্রোগ্রাম থেকে বিরত রাখতে হবে এবং সংরক্ষীত সংসদ সদস্য মহিলা আসনের পদ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।

ইফতারের পুর্বে পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা ও কলেজ শাখার পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি'র বাঙালী সকল সংগঠন গুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বৃহত্তর পার্বত্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি নাজি আল হাসান প্রেরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্যে জানানো হয়।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions